নিজস্ব প্রতিবেদক
যৌথ ব্যবসার কথা বলে জেসমিন পারভিন মুক্তা নামে এক নারীর ২০ লাখ টাকা ও সাড়ে ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৬ ভরি ১০ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ১০ জুন রাতে মামলাটি করেন, যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া (খালধার রোড, ২৭ পন্ডিত পুকুর লেন) ফজলুর রহমানের মেয়ে ও নুরুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন পারভীন মুক্তা। মামলায় আসামি করেন, যশোর সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত কাওসার বিশ্বাসের ছেলে মারুফ হোসেন। পুলিশ মারুফ হোসেনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামি মারুফ হোসেন বাদির পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুযোগে তার সাথে যৌথভাবে ব্যবসা করার জন্য বললে রাজি হয়। সেই সুাবাদে গত ২০১৮ সালের ১৮ জুন বেলা ১১ টায় তিনি আরবপুর গ্রামস্থ রাইডারস ইন রেস্টুরেন্টের পাশে জনৈক মনির হোসেন এর ভাড়া বাসায় অবস্থানকালে মারুফ হোসেন ভাড়া বাসায় এসে যৌথভাবে ব্যবসা করবে বলে পরামর্শ দিলে ১শ’ টাকার ৫টি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত শর্ত মোতাবেক চুক্তি করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় নগদ ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। এছাড়া, মারুফ হোসেন তার (বাদির) নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে ৬ ভরি ১০ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার যার মূল্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে মারুফ হোসেন টাকা দিবে না বলে বিভিন্ন ধরনের তাল-বাহনা করতে থাকে। সর্বশেষ গত ১৯ মে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এবং আসামিকে বাদির পাওনা টাকা দিতে বললে সে টাকা না দিয়ে প্রতারণা শুরু করে। উপায় না পেয়ে মামলা করেন।