নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী রূপসা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে যশোর সদরের হাটবিলা আফিল অটো ব্রিকসের সামনে।
নিহত হয়েছেন কেশবপুর বাগডাঙ্গা গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে জামাল হোসেন (৩৬)। এই ঘটনায় গুরুতর আহত চারজনকে জনকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন খুলনা ডুমুরিয়ার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আবুল খায়ের (৬৬), অভয়নগরের পাতালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৪৫), সদরের জয়ন্তা গ্রামের মেজবাউল হাসান (৬৪) ও মণিরামপুরের কাচিপুরের আবু সুফিয়ান (৩৬)। এছাড়া অন্যরা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম নামে এক চালক দুর্ঘটনা কবলিত বাসের যাত্রী হিসেবে ছিলেন। এঘটনায় তার বাম হাত ভেঙ্গে গেছে। তিনি জানান, রূপসা পরিবহন (যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৫৪৮১) বাসটি লোকাল গাড়ির মতো এক স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝায় করছিলেন। তাদের তো সময় নির্ধারণ করা থাকে, সেই সময়ের মধ্যে পৌছাতে হয়। স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে যে সময় নষ্ট করছিলেন তা মহাসড়কে উঠে পূরণের চেষ্টা করছিলেন। যশোর-খুলনা মহাসড়কের বসুন্দিয়া পার হওয়ার পর বাসের গতি আরো বেড়ে যায়। গতি ছিল ১০০-১১০ এর মতো। গতি না কমিয়ে সামনে থাকা একটি বাসের সাইট দিতে গিয়ে পাকা রাস্তার পাশে নিচে নামিয়ে দিলে পরিবহনটি উল্টে যায়। একই কথা জানান বাসে থাকা আবুল খায়েরসহ বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় হেলপার জামাল হোসেন গুরুতর আহত হন ও পরবর্তীতে তিনি মারা যান। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ফার্মিসিতে নিয়ে যায়। এছাড়া গুরুত্বর আহতদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা এ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক জানান, অল্প সমায়ের ব্যবধানে পাঁচজনকে নিয়ে আসে তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে বাকিদেরকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি হামিদ উদ্দিন জানান, তাৎক্ষণিকভাবে আফিল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব গাড়ি দ্বারা দুর্ঘটনায় পতিত রূপসা গাড়িটি সরিয়ে রোড ক্লিয়ার করেন। আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চালক পালাতক রয়েছেন।