নিজস্ব প্রতিবেদক: হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে জখম, শ্লীলতাহানি ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে যশোর সদরের কামালপুর গ্রামের দুই যুবকসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদরের সাড়াপোল গ্রামের শাহাদৎ হোসেন গাজির ছেলে শাহীন হোসেন মামলা করেন। আসামিরা হচ্ছে কামালপুর গ্রামের আবুল কাশেম গাজির ছেলে বুশ নয়ন (৩০) ও একই গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে মুসা (২৬)। এদের মধ্যে পুলিশ রুশ নয়নকে আটক করে।
মামলায় তিনি বলেন, আসামিদের স্বভাব চরিত্র ভালো না। খারাপ প্রকৃতির লোক। আসামিদের ভয়ে এলাকায় কেউ কোন কথা বলতে পারে না। শাহীন হোসেনের বোন তানিয়া খাতুনের সদরের খড়িঞ্চাডাঙ্গা গ্রামে বিয়ে হয়েছে। তিনি দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বসবাস করেন। স্বামী বিদেশ থাকায় আসামিরা তানিয়াকে প্রায় কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে।
আসামিদের কথায় রাজি না হওয়ায় তানিয়াকে ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে তানিয়া ব্যক্তিগত প্রয়োজনের খড়িঞ্চাডাঙ্গা গ্রামের হিন্দুপাড়ায় যান। সেখানে আগে থেকেই আসামিরা ওৎ পেতে ছিলো। তারা তানিয়াকে দেখে পথরোধ করে আসামি বুশ নয়ন আজে বাজে কথা বলে। নিষেধ করলে নয়ন, তানিয়ার কাপড় চোপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়।
এক পর্যায়ে মানসম্মানের ভয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য তানিয়া দৌড়ে পাশের সাধন কুমার বিশ্বাসের বাড়ি অবস্থান নেন। পরে তানিয়াকে বাড়ি পৌছানোর জন্য মোটর সাইকেল যোগে রওনা হন। ১৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টায় খড়িঞ্চাডাঙ্গা গ্রামের দিলুর মোড় মোহম্মদ আলীর চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে আসামিরা মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে আসামি বুশ নয়ন এলাপাতাড়ি মারপিট করে। শাহিনের বন্ধু নাসির ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে জখম করা হয়। তানিয়া ঠেকাতে গেলে তার কাপড় চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আনিছুর রহমান জানান, বুধবার দিবাগত রাতে আসামি বুশ নয়নকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।