নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) যশোর জেলা শাখার আয়োজনে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদকে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে যশোরে সমাজসেবায় ভূমিকা রাখায় গুণী এই চিকিৎসকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং তার কর্মজীবনের উপর ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচায্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, ‘গুণীদের কদর করা উচিত। কদর না করলে গুণীজন সৃষ্টি হয় না। যশোর একটি ইতিহাস ঐতিহ্যের জেলা। এই জেলার অনেক গুণী জনের জন্ম। সেই গুণীজনদের মধ্যে চিকিৎসক এম এ রশিদ। দেশবিদেশী একজন গুণীজন। তিনি কর্মদক্ষতায় গুণী হয়েছেন। তার সেই গুণ থেকে সমাজ পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যো নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সংবর্ধিত ডা. এম এ রশিদ বলেন, ‘যশোর আমার প্রিয় জেলা, সব জায়গায় গর্ব করে আমি এ জেলা উপস্থাপন করে থাকি। যশোর মেডিকেল কলেজের উপস্থাপনের জন্য আন্দোলন করেছি, তার সফলতা ও পেয়েছি। সৃষ্টির সেবা করার মধ্যে আলাদা শান্তি আছে। সদরের নাটোয়াপাড়ায় আমাদের বাড়ি নামের বৃদ্ধা ও শিশু আশ্রমটি নিজের সঞ্চায়ের সব কিছু দিয়ে করেছি। সন্তানেরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, তারা স্বাবলম্বী। তাদের নিয়ে আমার চিন্তা করা লাগেনা। তাই নিজের সর্বোচ্চ দিয়েই আমি এটা করেছি।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) যশোরের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লার সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন যশোর আদ দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. গিয়াস উদ্দিন, যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এ এইচ এম আহসান হাবীব, যশোর সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু সুফিয়ান শান্তি। অনুষ্ঠনের শুরুতেই ডা. এম এ রশিদের উদ্দেশ্য মানপত্র পাঠ করেন সংগঠনের ইসি মেম্বার প্রফেসর ডা. মারুফা আক্তার।
প্রসঙ্গত, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ যশোরের সমাজ সেবায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। সদর উপজেলার নাটুয়াপাড়ায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও তার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জিএমএসএস ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যাগে নির্মাণ করেছেন সমন্বিত প্রবীণ ও শিশু নিবাস ‘আমাদের বাড়ি’। সেখানে গ্রামীণ মনোরম পরিবেশে চারতলা ভবনটিতে ১৫০ জন বসবাস করছেন। এছাড়া মরিয়ম বিবি মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, শহরে আব্দুল গফুর মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
