নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জিলা স্কুলের সহকারি শিক্ষক আবুল কাশেমের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ১০ কিশোরের নামে বুধবার কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চাঁদাবাজির শিকার শিক্ষক আবুল কাশেম শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে তেঁতুলতলা কবির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
আসামিরা হলো শহরের শংকরপুরের সুবোধ বিশ্বাসের ছেলে সজিব কুমার (১৬), একই এলাকার কাব্য (২০) জীম (২০), মাহিম (১৯), কুয়াশা (২৫), আশিক (২০), বিপ্র (১৯), অরিত্র (১৯), অভিজিৎ (১৯) ও অর্ক (১৬)। এদের মধ্যে সজিব কুমাকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলায় আবুল কাশেম উল্লেখ করেছেন, তিনি যশোর জিলা স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে যশোর পৌরসভা উদ্যাণের দক্ষিণ পাশে একটি দোকানে তিনি চা খাচ্ছিলেন। এ সময় আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কাশেম চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। আসামিরা কাশেমের প্যান্টের মানিব্যাগ থেকে ২৫শ টাকা কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে আসামিরা কাশেমকে নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে তেঁতুলতলা কবির হোসেনের বাড়ি কাশেমের ভাড়া বাড়ি যেয়ে ভয়ভীতি প্রদান করে। একই সময় চাঁদার বাকি ৮ হাজার টাকা দিতে বলে। ভয়ে ৮ হাজার টাকা দিয়ে দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জয়ন্ত সরকার জানান, ঘটনার পর পৌরপার্কের মেইন গেটের সামনে থেকে আসামি সজিব কুমারকে আটক করা হয়। একই সাথে তার প্যান্টের বাম পকেট থেকে চাঁদার ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার আটক সজিবকে আদালতে সোপর্দ করেছি।
আরও পড়ুন: যশোর বোর্ডে শতভাগ পাসের তালিকায় ৩৯ আর শূন্য পাসের হারের তালিকায় ৬টি কলেজ