নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে গত ৬ মাসে ১৩০ কেজির বেশি সোনার বার জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যা গত কয়েক বছরের জব্দের তালিকায় এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। বিভিন্ন অভিযানে স্বর্ণের বহনকারী ব্যক্তিরা আটক হলেও মূল চোরকারবারীদের আটক করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
একই সাথে কয়েক বছর ধরে এসব আটককৃত মামলায় কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশও করেন। রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ। গেল কয়েক বছরের এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যশোর কালেক্টরে অমিত্রাক্ষর কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
সভায় জানানো হয়, সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে উদ্বেগ হারে স্বর্ণ পাচারের ঘটনা ঘটছে। যদিও প্রশাসনের দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানের ফলে নিয়মিত স্বর্ণের বারসহ বহনকারীদের আটক করা হচ্ছে। গেল ৬ মাসে ১০টি অভিযানে একশ ৩০ কেজির বেশি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে। মূল চোরাকারবারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় দিন দিন স্বর্ণপাচার বাড়ছে। মূলত গেল কয়েক বছরের চোরাচালান মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ায় পাচার বাড়ার কারণ হিসাবে মনে করছেন জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি।
সেই লক্ষে গেল কয়েক বছরের স্বর্ণপাচার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত মামলাগুলো নিয়ে জেলা পিপি ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার তাগিদ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। একই সাথে শীত মৌসুমে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পর্যপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে বন্দিরা শীতে কষ্ট পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। দ্রুত বন্দিদের শীত নিবারণের জন্য শীত বন্ত্র দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অভিযানের পরেও মাদকের চোরাচালান বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা।
জেলায় চৌগাছা, শার্শা ও বেনাপোল দিয়ে প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য চালান আসছে। তার পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। গত মাসে ২৮৪টি অভিযানে ৭৮টি মামলায় ৭৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মাদকসেবন ও চোরাকারবারীদের মনিটারিং ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর তাগিদ দেন জেলা প্রশাসক। সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট এস এম শাহীন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দু’যুগ পর নাট্য উৎসব করে সাড়া ফেলেছে যশোর ইনস্টিটিউট