নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান ডাবলুর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে করেন একেএম মোরশেদ।
লিখিত বক্তব্যে একেএম মোরশেদ বলেন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান ডাবলু পৌরসভার জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তার নজর পরে শহরের ওয়াপদাহ গ্যারেজ মোড়ে আমার জমি উপর। আমাকে ও আমার পরিবারে সদস্যকে অস্ত্র নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। পরিবারে নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের জমি ঘর ফেলে রেখে স্ত্রী, সন্তান ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে উপজেলার হামিদপুর গ্রামে বসবাস করছি।
তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ির প্রাচীর ভেঙ্গে জায়গা দখল করে নেন। আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তারপরেও দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সেই জায়গায় এখন তিনি (মফিজুর রহমান ডাবলু) ইট বালু দিয়ে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে দখল করে নিয়েছেন। তারপরও তিনি ক্ষ্যান্ত হননি। এরপর তিনি পৌরসভার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে পৌরসভার অনুমোদনবিহীন মার্কেট নির্মাণ করেন।
এবিষয়ে স্থানীয় সরকার যশোরের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব লাভের পর গেল ১ সেপ্টেম্বর মফিজুন রহমান ডাবলু অবৈধ স্থাপনা বিষয় নিয়ে নোটিশ প্রদান করেন। তবে নোটিশ প্রাপ্তির এক মাস অতিবাহিত হলেও মফিজুর রহমান ডাবলু তার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেননি। বরং মফিজুর রহমান ডাবলু নোটিশের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠান।
যশোর পৌরসভার প্রকৌশলী শরীফ হাসান বলেন, মফিজুর রহমান ডাবলু পৌরসভার নোটিশের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠান। আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিয়েছি। এখন আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
এবিষয়ে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান ডাবলু বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি কারও জমি দখল করিনি। চলতি মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখে পুরাতন কসবা ফাঁড়ির ইনচার্জের সাথে আমরা দুই পক্ষই বসেছিলাম। ফাঁড়ির ইনচার্জ তাদের গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে জমি মাপজোক করে সমস্যা সমাধান করতে বলেছিলেন। কিন্তু মোর্শেদ পরে রাজি হননি। যে জমি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে সে জমি নিয়ে মামলা হচ্ছে। আমাকে বিপদে ফেলার কৌশল হিসেবে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
