রূপদিয়া ও নাভারণে প্রমাণ পেয়ে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজানকে সামনে রেখে একটি অসাধু চক্র সয়াবিন তেলের বোতলে মূল্য টেম্পারিং করে দাম বাড়িয়েই থামছে না, থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন তারা। এভাবে ক্রেতাদের ঠকানোর নানা অপকৌশলে যশোরের অসাধু ব্যবসায়ীরা লিপ্ত হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে সয়াবিনের বোতলের গায়ে লেখা মূল্য টেম্পারিং করে বেশি দামে বিক্রির অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে একটি টিম রূপদিয়া বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় এক ও ২ লিটারের সয়াবিনের বোতলের গায়ে লেখা মূল্য টেম্পারিং করে বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে বাজারের জান্নাতি স্টোরকে ৪ হাজার টাকা ও মিন্টু স্টোরকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার আইনে এই ২টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে ক্যাব সদস্য আব্দুর রকিব সরদার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারে অধিদপ্তর অভিযান চালায়। অভিযানকালে বোতলজাত তেল নাই বলার পর তল্লাশিতে ২ লিটার বোতলের ২ কার্টন সয়াবিন তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সকল বোতলের মূল্য মুছে দিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছিল এসব দোকানে। ১, ২ ও ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলে মূল্য মুছে দিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ৭৮৫ টাকা মূল্যের ৫ লিটার বোতলজাত তেল ৮১০ টাকায় বিক্রির অপচেষ্টার প্রমাণ পায় অধিদপ্তর। উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখবিহীন খাদ্যপণ্য বিক্রি ও সংরক্ষণের চেষ্টাও দেখা যায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এমন ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
তদারকিকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সয়াবিন তেলের বোতলে প্রদর্শিত মূল্য তুলে বা মুছে না ফেলা কিংবা পরিবর্তন না করার নির্দেশনা দিয়ে সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণসহ যথাযথভাবে এবং সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব এ অভিযান পরিচালনা করেন।