নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা কালীন সময়ে বিদেশে বেকার হয়ে দেশে ফেরা যশোরের ১২শ শ্রমিককে পুনর্বাসন সাপোর্ট দেবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা খুলনা মুক্তি সেবা সংস্থা (কেএমএসএস)। সংস্থাটি ‘রি-ইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নি মাইগ্রান্ট ওয়ার্কারস ইন বাংলাদেশ’ (আরআরএমডাব্লুবি) প্রকল্পের মাধ্যমে এ সহায়তা দেবে। এ লক্ষে তাদের কর্মীরা যশোরের ৮ উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালায় এতথ্য জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদ উল আলম।
প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাকিয়া সুলতানা প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করে বলেন, সুইজারল্যান্ডের আর্থিক সহায়তা (এসডিসি) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কেএমএসএস ‘রি-ইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নি মাইগ্রান্ট ওয়ার্কারস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে ফেরা ১২শ মানুষকে পুনর্বাসন সাপোর্ট দেবে। করোনার সময়ে যারা বিদেশে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছে এমন প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মনোসামাজিক উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। যা শেষ হবে ২০২৬ সালে।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের অর্থনৈতিকসহ অন্যান্য সহায়তায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথেও লিংকেজ করে দেয়া হবে।
সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক শাহারিয়ার হাসান, টিটিসি যশোরের চিফ ইন্সট্রাক্টর আজিজুর রহমান, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি আলমাসুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট তাহমিদ আকাশ, শিশু নিলয় ফাউন্ডেশনের পরিচালক রোজিনা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ^াস, মানবাধিকার ও উন্নয়নকর্মী শাহাজাহান নান্নু, চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম রেজা, সাংবাদিক তবিবর রহমান, প্রণব দাস, এসএম আরিফ প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমএসএস প্রোজেক্ট অফিসার উৎপল রায়, ভলেন্টিয়ার তালিব হাসান, সাদিয়া আফরিন নাতাশাসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
