নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম গত ৩০ অক্টোবর শেষ হয়েছে। এই কার্যক্রম ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়। এর মধ্যে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৭৫১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ লাখ ৫৯১ জনকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হলেও ২৬ হাজার ১৬১ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র জানায়, বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, যশোর পৌরসভা ও জেলার ৮ উপজেলায় মোট ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৯ জন ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীকে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এর মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ২৬ হাজার ৭৫১ জন। টিকাদানের মেয়াদ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৫ লাখ ৫৯১ জন শিক্ষার্থীকে টাইফয়েড টিকা দিয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে এবং বাকি শিক্ষার্থীদের স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই বিভাগের পরিসংখ্যানে উপজেলার ভিত্তিতে টিকাদানের বিবরণে উল্লেখ রয়েছে যশোর পৌরসভায় ৩১,৭৩৭ জনের মধ্যে ৩০,৭৮৫ জন, সদর উপজেলায় ১,১৩,০৯০ জনের মধ্যে ১,০৮,১৬৭ জন, চৌগাছা উপজেলায় ৪৪,৪৬৯ জনের মধ্যে ৪০,৯৪৪ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ৫৭,০৬৭ জনের মধ্যে ৫২,৮৪২ জন, কেশবপুর উপজেলায় ৪৬,৫৪১ জনের মধ্যে ৪৪,৮১০ জন, মনিরামপুর উপজেলায় ৭৭,১৭৫ জনের মধ্যে ৭৩,৪৬১ জন, শার্শা উপজেলায় ৬৩,৭৩০ জনের মধ্যে ৬০,৩৯৩ জন, অভয়নগর উপজেলায় ৪৮,৫৪৭ জনের মধ্যে ৪৬,৪২৫ জন, বাঘারপাড়া উপজেলায় ৪৪,৩৯৫ জনের মধ্যে ৪২,৭৮৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন মো. মাসুদ রানা বলেন, অনেকে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হননি। বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। টাইফয়েড একটি প্রাণঘাতী রোগ। তাই সকল শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া জরুরি। এই টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
