নিজস্ব প্রতিবদেক
ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে বুধবার শুরু হচ্ছে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। গত বছর যশোরে ৭৩৩ পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবছর ৮১টি কমে পূজা হবে ৬৫২টিতে। পূজা মণ্ডপের সংখ্যা কমার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। মঙ্গলবার শহরের লালদীঘি পাড়ে সংগঠন কার্যালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক আয়োজন সম্পর্কে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়। এদিকে বিকেলে ‘শারদ সম্প্রীতি শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠন কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে পূজা উদযাপন পরিষদ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। লালদীঘির পাড় হরিসভা মন্দিরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিটি মন্দির ও ম-পের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। এ ছাড়া বরাবরের মতো পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় লালদীঘিতে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা থাকছে। জেলায় এবার ৬৫২ ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গতবছর এ সংখ্য ছিল ৭৩৩। আর্থিক সংকট, সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জনমানসে সৃষ্ট অস্থিরতা এবং মনিরামপুর-কেশবপুরের জলাবদ্ধতার কারণে এবার পূজা কম হচ্ছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন, পূজা উদযাপন পরিষদ যশোর জেলা শাখার সভাপতি দীপংকর দাস রতন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রশান্ত দেবনাথ, সাংস্কৃতি সম্পাদক অঞ্জন সাহা, প্রচার সম্পাদক অর্চনা অধিকারী, নির্বাহি সদস্য কার্তিক ভৌমিক, সুকুমার চক্রবর্তী, গৌরব ঘোষ, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক উৎপল ঘোষ।
অন্যদিকে, বিকেলে ‘শারদ সম্প্রীতি শোভাযাত্রা’র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘তোমার আমার একই দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’-স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা এতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার ঘোষ।
এতে উপস্থিত উল্লেখযোগ্যরা হলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতে ইসলামের আমির গোলাম রসূল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মুর্তজা ছোট, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক সান্তনু ইসলাম সুমিত, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশিদ, যশোর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, সাংবাদিক সাজ্জাদ গনি খান রিমন, বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু, সিপিবি নেতা এলাহদাদ খান, পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি বাণী ব্রত ঘোষ মনা, অ্যাডভোকেট প্রশান্ত দেবনাথ, জয়ন্ত বিশ্বাস প্রমুখ।