নিজস্ব প্রতিবেদক: মসজিদের ইমাম, খতিব ও আলেম-ওলামাদের নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক সমস্যা নিরসন শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) যশোর কার্যালয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যশোর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ কর্মশালা বক্তারা বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আলেম ওলামাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় ইফা যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বিল্লাল বিন কাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান। তিনি মসজিদের ইমাম-খতিব ও আলেম-ওলামাদের জুম্মার নামাজের পূর্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করা এবং জাতির কল্যাণে সকলকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়। ইসলামের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। অথচ সেই রাষ্ট্র প্রধানকেই নিরপরাধ নারী ও শিশু সহ স্বপরিবারে পাকিস্তানি এজেন্টরা নৃশংসভাবে খুন করেন। এ ধরনের হত্যা কী ইসলাম অনুমোদন করে? আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দেশকে উন্নয়নমুখী দেশে পরিণত করছেন। দেশের নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে এনে সমঅধিকার ও ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ বিষয়গুলো উপস্থিত নারী নেত্রী ও আলেম ওলামাদের প্রচার-প্রচারনায় তুলে ধরার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক দৈনিক কল্যাণের সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা বলেন, শুদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে আলেম ওলামাদের মুখ্য ভূমিকা করতে পারেন এবং তারা তা করছেন। সমাজে আজকে যে শান্তি স্থিতিশীলতা রয়েছে এতে ইমামদের ভূমিকা আছে। আপনারা যারা আলেম ওলামা রয়েছেন তারা মসজিদে নামাজের আগে মুসল্লিদের সচেতন করতে পারেন ইসলামের হাদিস ও কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে। মুসল্লিরা যেন জানতে পারে জঙ্গিবাদ কি? সন্ত্রাস কি? এরা কারা তারা কিভাবে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে নানান ভাবে ব্যবহার করে? আপনারা যদি প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন, তাহলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমন ধরতে সহজ হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক ও প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান। প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।