শাহারুল ইসলাম ফারদিন
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অটো জেনারেটর থাকা সত্ত্বেও রোগীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লোডশেডিং হলেই কয়েকটি ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনেরা প্রচণ্ড গরমে হাফিয়ে উঠছেন। বিদ্যুৎ গেলেই তাদের এখন ভরসা হাত পাখা। বহির্বিভাগের চিকিৎসকরা অন্ধকারেই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বিঘ্ন হচ্ছে অপারেশন থিয়েটারে থাকা রোগীদের সেবাকার্যে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের করোনারি বহির্বিভাগের ১৩ নম্বর রুমে গিয়ে দেখা যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাম মোর্তুজা বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে বসেই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। একই অবস্থা হাসপাতালের সকল রুমের। অথচ হাসপাতালে অত্যাধুনিক অটো দুইটি জেনারেটর রয়েছে। হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওটি রুমের গিয়ে দেখা যায় চিকিৎসকরা বিদ্যুৎ আসার অপেক্ষা করছেন। এইদিন ওটি রুমে চিকিৎসকরা ১৪ টি অস্ত্রপচার করেন। এর মধ্যে ৫টি ডেলিভারি, ৬টি সার্জারি ও ৩টি অর্থোপেডিক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানান, ওইদিন সিজারসহ পিঠের মেরুদণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রপচারের সময় বেশ কয়েকবার লোডশেডিং হয়। প্রতিবারই বেশ কয়েক মিনিট করে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। ওই সময়টা বিপাকে পড়তে হয়েছে চিকিৎসকদের। এদিকে করোনারি কেয়ারের বহির্বিভাগ ও ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনদের শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে। একেবারে নাকাল অবস্থা। প্রচণ্ড গরমে হাতপাখায় তাদের ভরসা।
করোনারি কেয়ারে চিকিৎসাধীন সদরের চাঁচড়ার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী হাফসা বেগম জানান, বিদ্যুৎ চলে গেলে এ ওয়ার্ডে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই অবস্থার নিরসন হওয়া প্রয়োজন। আরেক রোগীর স্বজন মণিরামপুরের কাশিমনগর গ্রামের গৌতম দাস জানান, লোডশেডিং হলেই ফ্যান বন্ধ হয়ে যায়। স্টোকের রোগী নিয়ে আছি এখানে, গরমে সকলের নাকাল অবস্থা।
হাসপাতালের ইলেকট্রিশিয়ান আব্দুস সালাম জানান, হাসপাতালের মেইন ফেজে ত্রুটি থাকায় বেশকিছু সময় লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করি লোডশেডিং মুক্ত রাখার জন্য। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশীদ জানান, হাসপাতালে অত্যাধুনিক জেনারেটর রয়েছে যাতে লোডশেডিংয়ে সেবা ব্যাহত না হয়। তবে বিদ্যুৎ অপারেট লাইনে ত্রুটি থাকায় মেরামত করার সময় সাময়িক ব্যাহত হয়েছে।