নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ হবে সকাল সাড়ে আটটায়। আর সুন্দরভাবে নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে এবার ত্রিপল’র ছাউনি ও ছামিয়ানা ব্যবহার করা হবে। গতবছর ঈদুল ফিতরে নামাজের সময় বৃষ্টিতে ভিজে যান মুসল্লিরা। এজন্য এবার আগেভাগে মিটিং করে ত্রিপল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সোমবার সকালে ক্যালেক্টরেট সভাকক্ষে ঈদগাহ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর নামাজের পূর্বেই পৌরসভার উদ্যোগে ঈদগাহ ময়দানকে নামাজের উপযোগী (গর্ত বালি দ্বারা ভরাট, মাঠ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা, ঘাস কাটা, ময়দানের আশপাশ সুসজ্জিত করা, পুরো ময়দানে সামিয়ানা ও ত্রিপল দ্বারা আচ্ছাদিত করা হবে। এজন্য ১৮ লক্ষাধিক টাকা খরচ করবে যশোর পৌরসভা।
এছাড়াও সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেগুলি হচ্ছে ময়দানের শোভাবর্ধনের জন্য নামাজের পূর্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফুলের টব, রঙ্গিন পতাকা, কলিমা খচিত ব্যানার উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাইপ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
জায়নামাজ ও বিছানা ছাড়া অন্য কোনো কিছু নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করা যাবে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সকল মুসল্লিকে ঈদগাহে আসতে বলা হবে।
যশোর কালেকটরেট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইয়াছিন আলম প্রধান ইমাম হিসেবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করবেন। কোন কারণে তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে বিকল্প হিসেবে সিভিল কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি ইলিয়াছ হোসেন দ্বিতীয় ইমাম এবং বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইনস্টিটিউটের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কার সিদ্দিক তৃতীয় বিকল্প ইমাম হিসেবে নামাজের ইমামতি করবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদ, প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফ হাসান প্রমুখ।

 
									 
					