বৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়বেন মুসল্লিরা
শাহারুল ইসলাম ফারদিন: ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরের আর বাকি ৩ দিন। গত দুই বছর করোনার কারণে যশোরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জামাত হয়নি। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতি ভালো থাকায় সেখানে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি চলছে। তবে অতীতের মতো ঈদগাহে ত্রিপলে ছাউনি দেয়া হচ্ছে না। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্য, ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ বৃষ্টি হলে ভিজে আর রোদ হলে প্রচন্ড গরমের মধ্যে মুসল্লিদের ঈদের জামাত আদায় করতে হবে। যা নিয়ে যশোর পৌরবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে
শুক্রবার বিকেলে যশোর ঈদগাহ ঘুরে দেখা গেছে, চারদিকে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল করার কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে বাঁশের কাঠামোর ওপর সামিয়ানা টাঙানোর কাজ। মাঠের ভেতরে একাধিক দর্জিকে সামিয়ানা সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। ওপরে সামিয়ানা টাঙানো প্রায় শেষ। মাইক ও বৈদ্যুতিক তার বসানোর কাজও প্রায় শেষদিকে। সবমিলিয়ে পুরো ঈদগাহ মাঠজুড়ে পুরোদমে কাজ করছেন শ্রমিকরা। মাঝেমধ্যে সেখানে এসে ঘুরে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এবার ঈদে বড় আক্ষেপ থেকে যাচ্ছে যশোর শহরবাসীর মনে। করোনার আগে রমজানের মাঝামাঝিতেই যেখানে ঈদগাহে মনোরম প্যান্ডেল ও ত্রিপলের ছাউনি শোভা পেত; এবার সে ব্যবস্থা নেই। বারবার মিডিয়ায় ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে বলে প্রচার হওয়া সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি আয়োজক কমিটি।
মাঠের আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার বলেন, ‘ঈদ জামাত ঘিরে যশোর ঈদগাহ ময়দানে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে কাজ শুরুর পর থেকে পুলিশ টহল দিচ্ছে। মাঠ প্রস্তুতের পর ঈদ জামাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কয়েক স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’ যশোর ঈদগাহের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান তিনি।
যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন জানান, ঈদের জামাতের প্যান্ডেল করতে গেলে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। বর্তমানে পৌরসভার ফান্ড নেই। যেকারণে এবার ঈদের জামাতে কোন প্যান্ডেল করা হবে না। শুধুমাত্র নিচে পরিস্কার করা হবে।
এদিকে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসা জামে মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে দুইটি, প্রথম জামায়াত সকাল ৭টায় ও দ্বিতীয় জামায়াত পোনে আটটায়, কারবালা জামে মসজিদ ও ওয়াপদা কলোনী জামে মসজিদ এবং রেলগেট জামে মসজিদে প্রথম জামায়াত সকাল সাড়ে ৭টা ও দ্বিতীয় জামায়াত সাড়ে ৮টায়, রেল বাজার জামে মসজিদে প্রথম জামায়াত সকাল ৮টায় ও দ্বিতীয় জামায়াত সাড়ে ৮টায়, আশ্রম রোডের বায়তুল মামুর জামে মসজিদ প্রথম জামায়াত সকাল ৮টায় ও দ্বিতীয় জামায়াত ৯টায়, যশোর সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ, পিটি আই জামে মসজিদ, কোতোয়ালি জামে মসজিদ, বায়তুস সালাম (মাইক পট্টি) জামে মসজিদে ও সদর হাসপাতাল জামে মসজিদ এবং সম্মিলনী স্কুল জামে মসজিদে জামায়াত সকাল সাড়ে ৭টায়, দড়াটানা মাদ্রাসা জামে মসজিদ, উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বেজপাড়া আজিমাবাদ জামে মসজিদ, রেল রোডের আল-মসজিদুল আকসা ও চাঁচড়া ডালমিল জামে মসজিদ এবং বারান্দী পাড়া ২নং কলোনী জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, ও যশোর জজকোট জামে মসজিদে সকাল ৯টায়।