নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে পাঁচ টার দিকে সন্ত্রাসীরা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। আগুনে আসবাবপত্র থেকে শুরু করে দলের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভাংচুর করা হয়েছে দলীয় কার্যালয়ের জানালা, দরজা ও আসবাবপত্র। সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের চিত্র ভিডিও ধারণ করায় তারা একটি ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিকে ব্যাপক মারপিট ও তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, রোববার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরাস্থা থানার মোড়, এম কে রোড হয়ে চিত্রা মোড়ের দিকে যায়। ওই মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন জেলা বিএনপি কার্যালয়ের আসবাবপত্র, জানালা, দরজা, ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে থাকা শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার, বেশ কিছু আসবাবপত্র ও দলের গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কিছু আসবাবপত্র ও দলের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র পাশের লাল দিঘীতে ফেলে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্র্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
এ দিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, যেখানে অগ্নিসন্ত্রাস, চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, লুটরাজ সেখানেই আওয়ামী লীগ জড়িত। এটি তাদের কুকীর্তি এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আজকে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হয়ে গেছে। যশোরে অতীতে বিএনপি কার্যালয় এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বাড়িতে একাধিকবার বোমা হামলা ও ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।