নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ তিন নেতার বাসভবন লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টার দিকে শহরের ধর্মতলা, শংকরপুর বটতলা মোড় ও খড়কি এলাকাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সংঘটিত এলাকাগুলোতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশের উধ্বতন কর্মকর্তাসহ কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।
পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের ধর্মতলা বাজার এলাকায় যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর কয়েক মিনিট পর শংকরপুর বটতলা মসজিদের কাছে যশোর পৌরসভার ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট জুলফিকার জুলুর বাড়ির সামনে ২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া শহরের খড়কীতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানার বাড়ির পেছন থেকে ৪/৫ রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এসময় এলাকাতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ নানা দাবিতে যশোরে বিএনপি নেতাকর্মীরা সরব। পুলিশের বাধা ও দলীয় নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি উপেক্ষা সফল আন্দোলন করছেন নেতাকর্মীরা। দমন নিপিড়ন করেও বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকাতে না পেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের জনমনে আতংক ছড়িয়ে দিতে এই ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালানো হচ্ছে। ঘটনার দিনও যশোর জেলা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে গণঅনশনের মতো কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের ধর্মতলা এলাকায় বাসাতে টেলিভিশন দেখছিলাম। এমন সময় বাসার সামনে পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ হয়। বাসার সবাই আতংকিত হয়ে পড়ে। বের হয়ে দেখি মানুষজন দৌড়াদৌড়ি করছে। বাসার সামনে ধোঁয়া উড়ছে। পরে আশপাশের বাসিন্দারা জানান, কয়েকটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে দুবৃর্ত্তরা আমার বাড়ির উদ্দেশ্য ককটেল বিস্ফোরণ করে চলে গেছেন। আনুমানিক তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন তরুণ এসে সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ করে চলে গেছেন। কয়েক জনের মাথাতে হেলমেট পরা ও কিছু লোকের মুখে কাপড় বাধা ছিলো। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে আলামত সংগ্রহ করে তারাও চলে গেছে।
এই বিষয়ে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘অতীতেও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বাসভবনে একাধিকবার এ ধরনের বোমা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যা আপনাদের সকলের স্মরণে আছে নিশ্চয়ই। আমাদের আশংকা, চলমান এক দফার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে পরিচালনা করতে, এটা নীল নকশার অংশ বিশেষ। এ ব্যাপারে আমরা, জেলা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে, তাঁরা শহরে টহল টিম বের করেছেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) একে এম শফিকুল আলম বলেন, পুলিশের মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। ককটেলের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
