নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে জুলাই মাসে ১৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় যশোর পৌর এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে শহরের ৯টি ওয়ার্ডে চলছে মশক নিধন অভিযান।
গত মঙ্গলবার মশা নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ। উদ্বোধনের পর ২টি ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে আরো একটি ফগার মেশিন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া শহরের পাড়া-মহল্লায় হ্যান্ড স্প্রে মেশিন দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংসে ওষুধ ছিটাচ্ছে পৌরসভা।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, শহরের ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা মশা নিধনে কাজ করছে। এজন্য ৩টি ফগার মেশিন দিয়ে মশার লার্ভা নিধন করা হচ্ছে। মশার বংশ বিস্তার রোধে পাড়া-মহল্লার ড্রেন ও খানা-খন্দে জমে থাকা পানিতে ছিটানো হচ্ছে ওষুধ। প্রতিদিনই শহরের এলাকা ঘুরে ঘুরে ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ঝোপঝাড় পরিস্কার করা হচ্ছে। মশা নিধনে কোন এলাকা যেন বাদ না যায় তা মনিটরিং করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, যশোরে ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশা নিধনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পৌরসভার কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে মশা নিধনের কাজ তদারকি করছেন। এর পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। চলমান অভিযানের সঙ্গে শহরবাসীকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে।