নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়েছে চুরি ও ছিনতাই। প্রায় প্রতি রাতে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র হাতে মুখে মুখোশ পরে ছিনতাই করছে। এতে করে মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
শহরের বেজপাড়া মেইন রোড, নলডাঙ্গা রোড, পূজারমাঠ, বিকে সড়ক, রানার অফিস রোড, বনানী রোডের একাংশ নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে এসব এলাকায় ঘটছে চুরি ও ছিনতাই। গত ২৪ মে বেজপাড়া মেইন রোডে রাত ১২টার দিকে শহরের খালধার রোডের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক হিরাকে ছুরিকাঘাত করে তার বাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় হিরাকে যশোর আড়াইশ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে চুরি-ছিনতাই রোধে শুক্রবার নলডাঙ্গা রোডে আরএন রোড ক্রীড়া চক্র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা করেছেন এলাকাবাসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাড. গোলাম ফারুক, অ্যাড. শহীদ আনোয়ার, সন্তোষ কুমার দত্ত, মোস্তফা গোলাম কাদের, অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, শেখ মো. ইব্রাহিম, এজাজ উদ্দিন টিপু, সানোয়ার আলম খান দুলু, জিয়াউর রহমান বিপ্লব, মনিরুল হুদা, বাবলু প্রমুখ।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর সন্তোষ কুমার দত্ত জানান, প্রায় প্রতিদিন ঘটছে ছিনতাই ও চুরি। ছিনতাইকারীরা মুখোশ পরে ছিনতাই করছে। বিশেষ করে বেজপাড়া মেইন রোড আজিমাবাদ মসজিদ গলি, পূজারমাঠ এলাকা, নলডাঙ্গা এলাকায় ঘটছে ছিনতাই। গভীর রাত ও ভোরে বেশি ঘটছে ছিনতাই। যারা ভোরে হাটতে বের হন বা ঢাকা থেকে ফেরেন তারাই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। আমরা এটি প্রতিরোধে উদ্যোগ নিচ্ছি।
এব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।