নিজস্ব প্রতিবেদক
গত মৌসুমে রানরেটে পিছিয়ে থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনে উঠতে ব্যর্থ হয় উপশহর ইয়থ ক্লাব। চলতি মৌসুমেও দলটির সামনে এসেছিল রান রেটের সমীকরণ। তবে সোমবার স্ক্যাইল্যাবকে ৯ উইকেটের হারানোর সাথে রান রেটের সমীকরণ মিলিয়ে আগামী মৌসুমে দলটি খেলবে জেলার সর্বোচ্চ ক্রিকেট আসর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে।
শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে স্ক্যাইল্যাবকে প্রথমে ৮৭ রানে গুটিয়ে দেয় উপশহর। প্রিমিয়ারে উঠতে হলে তাদের জিততে হতো ১৪ ওভারের মধ্যে। তবে তারা এত সময় নেননি। ৭ ওভার ২ বল ও এক উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে উপশহর ইয়থ ক্লাব। উপশহরের সমীকরণ মেলানো এই জয়ে কপাল পুড়েছে শতদলের। তাদের প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। রান রেটে এগিয়ে থেকে আগেই প্রিমিয়ার লিগ নিশ্চিত করা বসুন্দিয়ার মুসলিম ফ্রেন্ডস আদর্শ সংঘ হয়েছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন। আর রানার্সআপ হয়েছে উপশহর ইয়থ ক্লাব।
যদিও এদিন স্ক্যাইল্যাবের খেলোয়াড়দের শরীরের ভাষায় জয়ের কোন তাড়নায় ছিল না। তাদের আউটগুলো ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। আবার ফিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচ ফেলেন। এই দেখে মাঠে উপস্থিত গুটি কয়েক দর্শক ম্যাচটি সমঝোতার বলে উল্লেখ করেন। স্ক্যাইল্যাব এই ম্যাচ জিতলে তাদের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হতো না।
এদিন টস জিতে উপশহরের অধিনায়ক রিয়াদ প্রথমে স্ক্যাই ল্যাবকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়। ব্যাট করতে নেমে উপশহরের সুমনের করা প্রথম ওভার থেকে কোন রান নিতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় ওভারে ১২ রান নিয়ে ভালো শুরু ইঙ্গিত দেন স্ক্যাইল্যাবের দুই ওপেনার টুটুল গুহ ও আশিষ দাস। তবে সময় যত গড়িয়েছে ততই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন স্ক্যাইল্যাবের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত তারা ২৬ ওভার ২ বল ব্যাট করে ৮৭ রান করতে পারে। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে টুটুল গুহ ৪২ বলে সর্বোচ্চ ২০, আশিষ দাস ও ফয়সাল ১৮ রান করে সংগ্রহ করেন। বল হাতে উপশহর ইয়থের বাঁহাতি স্পিনার সুমন ৫ ওভার ২ বল হাত ঘুরিয়ে দুই মেডেনসহ ৯ রানে চারটি, রিয়াদ ১৯ রানে ৩টি, রয়েল ২টি ও শিমুল একটি উইকেট দখল করেন।
উপশহর ইয়থের মেজবাহ ২৩ রানে ৬টি চার ও একটি ছয়ে অপরাজিত ৪০, রুমি ১৬ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে অপরাজিত ৩৩ ও বশির ৫ বলে ১২ রান করেন। স্ক্যাইল্যাবের একমাত্র উইকেটটি দখল করেন রনি মণ্ডল।
