নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর প্রথম বিভাগ ক্রিকেট সেরা ম্যাচটাই হয়ে গেল মঙ্গলবার। শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে ইয়াং ক্রিকেটার্স ও পাইওনিয়ার ম্যাচটি লিগের সেরা না হলেও রোমাঞ্চকর ছিল। দুই ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি, পাঁচ উইকেট, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প কি ছিল না ম্যাচে? তবে রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে ইয়াং ক্রিকেটার্স। পাইওনিয়ারের ২৫০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা ইয়াং ক্রিকেটার্স শেষ পর্যন্ত জয় পায় ৩ উইকেটে। এটি ইয়াং ক্রিকেটার্সের টানা দ্বিতীয় জয়।
এদিন টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাইওনিয়ারের অধিনায়ক আফিস ইসলাম বাপ্পা। ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ৪৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেখান থেকে ইসমাইলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত ৪৬ ওভারের ৪৫ ওভার ৩ বলে ২৫০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায়। এদিন ইসমাইল সঙ্গে পেয়েছিলেন শামীম ও রুম্মনকে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইসমাইল অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে দলের সংগ্রহ ২০০ পার করার সাথে নিজেও সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৬৫ বলে ফিফটি করার ইসমাইল সেঞ্চুরি করেন ১২৪ বলে। শেষ পর্যন্ত ১৩০ বলে ৮টি চার ও ১টি ছয়ে ১০৩ রান করেন। এর পাশে শামীম ৬৮ বলে ৩টি চারে ৩২, রুম্মন ২১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ২৮ রান করেন। ইয়াং ক্রিকেটার্সের বাংলাদেশ ফিজিক্যাল দলের বাঁহাতি স্পিনার মাহফুজুর রহমান ৯ ওভারে ২টি মেডেনসহ ১৯ রানে ৫টি উইকেট দখল করেন। এরপাশে রাকিব হাসান ৪১ রানে ও ধীমান পাল ৩৯ রানে ২টি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইয়াং ক্রিকেটার্স। সেখান থেকে শাহারিয়ার হোসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায়। শাহারিয়ার প্রথমে সঙ্গে পায় শাহারিয়ার অনিককে। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৬৭ রান। অনিক ৪০ রানে সাজঘরে ফিরলেও শাহারিয়ার হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। শাহারিয়ার অষ্টম উইকেট জুটিতে নাহিদ মাহমুদের ৫৫ রানে জুটি গড়ে দলকে জয়ের দারপ্রান্তে নিয়ে যান। তবে ব্যক্তিগত ২৬ রান করে আউট হয়ে যান নাহিদ। পরে স্বাধীনকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে শাহারিয়ার। ৫১ বলে অর্ধশতক করা শাহারিয়ার শেষ পর্যন্ত ১০৫ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। শাহারিয়ারের ইনিংসে ১২টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল।
বল হাতে পাইওনিয়ারের শামীম ৫৪ রানে ৩টি, মৌমেন ৫৫ রানে ২টি, চয়ন ও ইকরামুল ১টি করে উইকেট দখল করেন।