এম এ রাজা
আগামী নভেম্বরে শেষ হবে যশোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ। এখনো দুই মাসের অধিক বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাকি থাকলেও যশোর ফুটবল অঙ্গণে নির্বাচনী আবহ বিরাজ করতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ক্রীড়া সংগঠকরা মাঠে নেমে পড়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, চার বছর মেয়াদি যশোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই। নির্বাচনের চার মাস পর ২ নভেম্বর টাউন হল মাঠে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্তমান কমিটির যাত্রা শুরু হয়।
ডিএফএ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকে নির্বাচন কেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। যেহেতু নির্বাচনের এখনো দুই মাসের অধিক সময় রয়েছে তাই কে কোন পদে নির্বাচন করবেন ও কয়টা প্যানেল হচ্ছে সেটা এখনো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ সভাপতি পদে কে কে নির্বাচন করবে তাই নিয়ে ফুটবল অঙ্গণে চলছে আলোচনা।
সর্বশেষ নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি আসাদুজামান মিঠুর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শেখ শামস্-উল-বারী শিমুল। এবারও তিনি প্রার্থী হতে বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া যশোর ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য ও খো খো পরিষদের সম্পাদক সোহেল আল মামুন নিশাদ নির্বাচন করতে পারেন। আগামী নির্বাচনে নিশাদকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় বলে বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। অপরদিকে শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন) শেখ শামস্-উল-বারী শিমুল এবারও নির্বাচন করবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
নির্বাচন বিষয়ে নিশাদ বলেন, জেলা ফুটবল অ্যাাসোসিয়েশনের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির অনেক ক্ষমতা রয়েছে। সভাপতি চাইলে ফুটবলের উন্নয়নে অনেক কিছু করতে পারেন। কিন্তু বর্তমান সভাপতি ফুটবল উন্নয়নে কোন কিছু করছেন না। এ চার বছর মেয়াদে শুধুমাত্র প্রথম বিভাগ ফুটবলই শেষ করতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, খো খো’র মতো নতুন খেলাকে আমি যশোরে অনেকাংশে জনপ্রিয় করতে সক্ষম হয়েছি। সম্প্রতি জাতীয় খো খো প্রতিযোগিতা সুষ্ঠুভাবে শেষ করা তারই প্রমাণ। এছাড়া আমি জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে রেফারিদের মান উন্নয়নে কাজ করছি। তাই যশোরের ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলকে এগিয়ে নিতে ডিএফএ সভাপতি হতে চাই।
ডিএফএ সভাপতি আসাদুজামান মিঠু শোকের মাসে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চাননি। তবে যথাসময়ে ডিএফএ নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, যশোর ফুটবলের কাঙ্খিত উন্নয়ন প্রধান বাধা ছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবির-আক্তার গংরা। খেলার জন্য বারবার স্টেডিয়াম বরাদ্দ চাইলে তারা মাঠ দেয়নি। সর্বশেষ অভয়নগরে খেলার আয়োজন করে লিগ শেষ করলাম।
উল্লেখ্য, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম পদে কোন নির্বাচন হয় না। এই দুই পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এছাড়া সহ-সভাপতি দুজন, কোষাধ্যক্ষ ও নির্বাহি সদস্যও ৯টি পদ রয়েছে। সব মিলিয়ে সব মিলিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩টি নির্বাচিত পদ রয়েছে।
