নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে তিন মাস পর যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেক জালিয়াতি ঘটনায় নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ৩১ মার্চ দায়িত্ব পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোর কার্যালয়ের নতুন উপপরিচালক আল আমিন। কমিশনের ঢাকা কার্যালয়ের নির্দেশে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিগগিরই মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিন।
এর আগে দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছিলেন সংস্থার যশোর কার্যালয়ের ওই সময়ের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ায় কেউ তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন না।
২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষাবোর্ডে প্রথম জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে বোর্ড থেকে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া ৭ কোটি টাকার ঘটনা। এরপর ১৮ অক্টোবর দুদক’র সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল এ বিষয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন, শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সাবেক সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির প্রধান কেএম রব্বানি জানান, আমরা জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি। ইতিমধ্যে ৫৮ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে শিক্ষাবোর্ডের সচিবের কাছে। ৩৬টি চেকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা। এই জালিয়াতির সাথে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত রয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।
এদিকে মামলা হওয়ার ৫দিনের মাথায় দুর্নীতি মামলার আসামি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজাকে ওএসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ সাক্ষরিত এক আদেশে ওই দুইজনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরে সংযুক্তির আদেশ দেয়া হয়। অপর আদেশে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. আহসান হাবীবকে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। আর সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয় রাজশাহী এএইচএম কামরুজ্জামান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল খালেক সরকারকে।