নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে দ্বিতীয়দিনে মোট ২৮টি মনোনায়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে কাসেদুজ্জামান সেলিম ও এজাজ উদ্দিন টিপুর সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদ ২৫টি পদের বিপরীতে ২৭টি এবং জেড এল অটোর সত্ত্বাধিকারী সাদ্দাম হোসেন জিতু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র ক্রয় করছেন। সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে মনোনায়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক লিটন ও সাবেক কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দীনসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীবৃন্দ।
এর আগে গতকাল প্রথম দিনে শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু ও সেলিম রেজা বাপ্পি পরিষদ ২৫টি পদের বিপরীতে ২৭টি মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন। দীর্ঘ ৭ বছর নানা জটিলতা কাটিয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর গত ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৯৪৩ জন ভোটার। তফসিল অনুযায়ী গত ২০ নভেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র কিনতে পারবেন প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাই আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাতিল ও আদেশের উপর আপিল দাখিল ২৬ ও শুনানি ২৭ নভেম্বর। প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ৩০ নভেম্বর এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়েছে যশোর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. মো: ইসহককে। কমিশনার হয়েছেন যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান ও প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর শাখার নির্বাচনে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাড. মো: ইসহক জানান, দুই দিনে ২৫টি পদের বিপরীতে দুইটি প্যানেল ও একটি স্বতন্ত্রসহ মোট ৫৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।
জানা গেছে, সংগঠনটির সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর। নির্বাচনে শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু ও আনোয়ার হোসেন সবুজ প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছিল। নির্বাচনে তারা ২৫টি পদের বিপরীতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২০টি পদে জয়লাভ করে। আর গোলাম ফারুক লিটন-সায়েম সিদ্দিকী প্যানেল পেয়েছিল ৫টি পদ।