নিজস্ব প্রদিবেদক
যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওশীন সুলতানা সুমি ও তার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি জবর-দখলসহ তার পরিবার হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে নওশীন সুলতানা সুমি বলেন, আমার স্বামী শেখ আসিফ ইকবালের ভাই তৌফিক ইকবাল ও তার বোন ফারজানা তানজাম খড়কি এলাকায় সিন্ডিকেট করে আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তৌফিক ইকবাল ও তার বোন ফারজানা তানজাম ৭৯নং খড়কি মৌজার অন্তগর্ত আমার শ্বশুরের সম্পত্তিতে স্বামী শেখ আশিক ইকবালসহ তার ভাই তৌফিক ইকবাল ও তার বোন ফারজানা তানজাম মোট পাঁচজন শরীক। আমার শ্বশুর মারা যাওয়ার পর আমার শাশুড়িকে নিয়ে অভিযুক্ত তৌফিক ইকবাল সম্পূর্ণ সম্পত্তি দেখাশোনা করতো। আমার স্বামী ভাগবণ্টন করতে চাইলে এবং আমরা আলাদা ঘরবাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু তৌফিক ইকবাল ও তার বোন ফারজানা তানজাম রাজি না হয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করিতে থাকে।
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য বসাবসি হয়। বসাবসিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ অ্যাডভোকেট ও সার্ভেয়ারের মধ্যস্ততায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবণ্টন করে যে যার মতো ভোগদখল করতে থাকি এবং আমরা আমাদের প্রাপ্য সম্পত্তিতে ৩য়তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ অর্ধেক চলাকালে তৌফিক ইকবাল ও ফারজানা তানজাম আমাদের কাজে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা প্রদানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও সার্ভেয়ারের ভাগবণ্টন মানবে না বলে পুনরায় ভাগবণ্টনের জন্য চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে।
আমরা বাধা-নিষেধ করলে আমরা যেন বসবাস না করতে পারি তার জন্য তারা আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য ষড়ষন্ত্র করতে থাকে। এমনকি আমাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য আদালতে হয়রানিমূলক মামলাসহ থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ির নির্মাণ কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ায় ইট, বালু, সিমেন্ট পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। গত ৮ মে স্বামী শেখ ইকবালকে নিয়ে আমাদের জমিতে ফেলে রাখা ইট, বালু, সিমেন্ট পর্যাবেক্ষণ করতে গেলে তৌফিক ইকবাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারপিট, খুন-জখমের উদ্দত হয়। তখন আশেপাশের লোকজন আসলে তিনি আমাদের জমি দখল করতে দিবে না এবং আমরা জমিতে গেলে আমাদের মারপিট খুন জখমসহ মামলা করে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। আমরা এ বিষয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তৌফিক ইকবাল ও ফারজানা তানজাম এলাকার সিন্ডিকেট করে আমরা যেন জমি ভোগদখল করতে না পারি এবং আমি যেনো আওয়ামী লীগের পদে না থাকতে পারি তার জন্য নাটকীয়ভাবে আমার ও আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে শেখ সাকিব ইকবালের (১৭) বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে ছেলের উজ্জল ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়া বর্তমানে আমাদের সম্মানহানি ঘটানোর জন্য নিয়মিত পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান নওশিন সুলতানা।