নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর মেডিকেল কলেজে অফিস সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করে তা বন্ধ করতে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন জেলা জজ আদালতের আইনজীবী নব কুমার কুন্ডু। রোববার ডাকযোগে এই নোটিশ দেয়া হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনজীবী নব কুমার কুন্ডুর মক্কেল মাগুরা জেলার সীমাখালি এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন যশোর মেডিকেল কলেজের অফিস সহকারী পদে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ৫ জুন পরীক্ষার একদিন আগে প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। এবং পরের দিন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। আমরা মনে করি অনৈতিকভাবে শুধুমাত্র বাছাইকৃতদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। যেকারণে ওই নিয়োগ পরীক্ষা আইনসিদ্ধ হয়নি। একারণে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। তানাহলে আদালতে মামলা করা হবে।
এর আগে সমলোচনারমুখে গত ৬ জুন অফিস সহকারীর মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে যশোর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
গত ৫ জুন ১৮টি অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় মাত্র একদিন আগের নোটিশে। আগের দিন পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগ ছিল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মহিদুর রহমান আগামী ৮ জুন অবসরে গেছেন। আর হিসাব রক্ষক জয়নাল আবেদীন অবসরে চলে গেছেন। কিন্তু তারপরেও তিনি নিয়মিত অফিস করেন। জয়নালের প্রেসক্রিপশনে কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুয়েল পরীক্ষার্থী প্রতি টাকা গ্রহণ করেছে লাখ লাখ টাকা। যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজে। অন্যান্যদের আবদুর রাজ্জাক কলেজে পরীক্ষা নেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক কল্যাণে সংবাদ প্রকাশ হয়। যেকারণে বাধ্য হয়ে প্রশাসনের নির্দেশে ভায়বা স্থগিত করা হয়েছে।
এব্যাপারে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মহিদুর রহমান জানান, আমি অবসরে চলে গেছি। নতুন অধ্যক্ষ আসার অপেক্ষায় রয়েছি। ১৮টি পদে আবেদন করেছিলেন ৫ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী। আমরা যাচাই বাছাই করে প্রবেশপত্র ইস্যু করেছিলাম ২ হাজার ৬৭২ জনের। আগেই এদেরকে অবহিত করা হয়েছিল ৫ জুন পরীক্ষা হবে। এজন্য একদিন আগে প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। আর আমার অবসরের সাথে এই পরীক্ষা নেবার কোন সম্পর্ক নেই। যেহেতু টাকার নেবার অভিযোগ এসেছে, আবার আমাকে নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে সেকারণে ভায়বা পরীক্ষা স্থগিত রেখেছি। পরবর্তীতে যিনি অধ্যক্ষ হবেন তিনি দেখবেন। এখনও গতকাল রোববার কোন লিগ্যাল নোটিশ হাতে পায়নি। তবে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রয়েছে।
জেলা জজ আদালতের আইনজীবী নব কুমার কুন্ডু দৈনিক কল্যাণকে বলেন, প্রাথমিকভাবে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপর মামলা করা হবে।
