নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল নির্মাণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোন উদ্যোগ নেই। তারা সংসদেও এ ব্যাপারে কথা বলেন না। জোর দাবিও জানান না। এটি কাক্সিক্ষত নয়। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ এসব অভিযোগ করেছেন। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেডিকেল কলেজের প্রায় এক যুগ পার হতে চললো কিন্তু অদ্যাবধি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। অথচ যশোর সদর হাসপাতালে স্থানীয় অধিবাসী ছাড়াও ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, মেহেরপুর এমনকি চুয়াডাঙ্গা থেকেও রোগীরা আসেন চিকিৎসা সেবা নিতে। যদি মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল স্থাপিত হতো, তাহলে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী উপকৃত হতো।
বক্তারা আরো বলেন, যশোরের পর সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়েছে। অথচ তারা ইতিমধ্যে হাসপাতাল পেয়ে গেছে। কিন্তু আমাদেরকে ভুগতে হচ্ছে প্রায় এক যুগ ধরে। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অসুস্থ হলে অনেকেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। তাদের স্ত্রী, সন্তান, স্বজনদের পাঠান। কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়। সুতরাং এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার, জনপ্রতিনিধিসহ সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক অ্যাড. আবুল হোসেন, সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, জনউদ্যোগের সভাপতি নাজির হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল প্রমুখ।
দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে যশোরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।