শাহারুল ইসলাম ফারদিন
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রবেশমুখে ড্রেনে জমে থাকা পানি ও ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রোগীদের ব্যবহৃত নোংরা পানি ও ময়লা আবর্জনা আর দুর্গন্ধে নাকাল রোগী ও স্বজনরা। শনিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় কয়েকজন রোগী মন্তব্য করেন, হাসপাতালের অবস্থা এমন হলে সুস্থতা দূরে থাক, আরও রোগজীবাণু নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের প্রবেশ মুখে সংযোগ ড্রেনটি ময়লা ভর্তি হয়ে নোংরা পানিতে ভেসে গেছে জরুরি বিভাগ ও ওভার ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থান। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগীদের ব্যবহৃত পানি, বাথরুমের পানি, স্টোর ও জরুরি বিভাগের ময়লা পানি নিষ্কাশন ড্রেনটি গিয়ে মিলেছে ওভার ব্রিজ এবং জরুরি বিভাগের মাঝামাঝি জায়গায়ের পূর্বপাশে করোনারি ইউনিটের সামনে খোলা বৃহৎ ড্রেনের সাথে। ড্রেনটির উপরের ঢাকনি না থাকায় সেখান থেকে মল-মূত্রের দুর্গন্ধ বের হয়। ড্রেনের পাশে রোগীদের পরিত্যক্ত ভাত-তরকারির স্তুপে পরিণত হয়েছে। ময়লা ফেলার পাত্র থাকা সত্ত্বেও বাহিরে ফেলছে রোগীর স্বজনেরা। এতে করে ভাত ও তরকারির পচাঁ দূর্গন্ধে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
পুলেরহাট মালঞ্চি থেকে আসা আইয়ুব হোসেন হিরণ জানান, মাস্ক পরে থাকলেও দুর্গন্ধে খুবই কষ্ট হচ্ছে তার। শনিবার সকালে রামনগর রাজারহাট থেকে আসা ইজিবাইক চালক ইলিয়াস আলী বলেন, রাজারহাট থেকে শ্বাসকষ্ট রোগী নিয়ে এ হাসপাতালে এসেছি। জরুরি বিভাগের সামনে অন্য একটি অ্যাম্বুুলেন্স থাকায় রোগী নামাতে দেরি হয়। এতেই আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে রোগী। তাড়াতাড়ি জরুরি বিভাগের ভিতর থেকে অক্সিজেন এনে মুখে লাগাতে হয়। সদরের নুরপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও আশেপাশে খুবই নোংরা। এমনিতেই পিতার দুর্ঘটনা নিয়ে সারা দিন দৌড়ঝাপ করতে গিয়ে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। অপরদিকে আশেপাশে তাকালে বমি আসার উপক্রম হচ্ছে তার। হাসপাতালের প্রবেশের মুখেই রয়েছে নোংরা পানি ও ময়লা আবর্জনার স্তুপ, যা থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে জানান, গৌতম নামে এক রোগীর স্বজন। হাসপাতালে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা খাজুরার তহমিনার স্বামী আব্বাস উদ্দিন জানান, এখানে এতো দুর্গন্ধ যে, সুস্থ লোকও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
ওয়ার্ড মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম কাজল বলেন, এতবড় হাসপাতালে মাত্র ৩০ জন সুইপার, চেষ্টা করি পরিস্কার রাখার তবে রোগীর স্বজনদের অসচেতনতার অভাবে সব দিক পরিস্কার রাখা সম্ভব হয় না।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, রোগী ও তার স্বজনেরা সচেতন না হলে সমস্যার সমধান করা সম্ভব হবে না। ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য আবর্জনা ফেলার পাত্র রাখা হয়েছে তা সত্ত্বেও সেখানে ফেলছে না। এজন্য ময়লা জমছে। দুর্গন্ধ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যক্রমের উপর জঙ্গি হামলা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
৪ Comments
Pingback: এমপি’র মায়ের নামে নামকরণে জমিদাতা পরিবারের আপত্তি
Pingback: যশোরের বায়ু অস্বাস্থ্যকর
Pingback: দখলদারদের কবলে খুলনার আঠারোবেকি নদী
Pingback: চুড়ামনকাটিতে ১৪৪ ধারা অমান্য করে পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা