নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। হাসপাতালের রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে টাকা পয়সা, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে দিচ্ছে চোরেরা। বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালের স্টাফরাও। মাঝে মধ্যে চুরি করার সময় ধরা পড়লেও স্বাক্ষীর অভাবে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এক নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন খুলে পালানোর সময় দুইজনকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত মাসের ২৪ তারিখে ঝিনাইদহের মহেশপুরের খলিলপুর গ্রামের দাউদের স্ত্রী সবেদা খাতুনের মোবাইল ফোন চুরির সময় হাতে নাতে দুই নারীকে আটক করা হয়। একই মাসের ২০ তারিখে হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ ফোনটি উদ্ধার করে তত্ত্বাধায়কের মাধ্যমে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের ১৪ নম্বর রুমের সামনে থেকে যশোর সদরের কামারগন্যা গ্রামের মনিরুজ্জামানের স্ত্রী তহমিনা বেগমের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন খোয়া যায়। পরে উপস্থিত রোগীদের সহযোগিতায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে তাদের কাছ থেকে চুরিকৃত মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থসহ চেইনটি উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ঢাকার শাহাবাগের সোহেল হোসেনের স্ত্রী নূরন্নাহার বেগম ও গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রোজিনা বেগম। তারা বর্তমানে শহরের শংকরপুর বাসটার্মিলাল এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী তহমিনা জানান, হাসপাতালে সকালে ১৪ নম্বর রুমে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রচুর ভিড়ের মধ্যে তিনি লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় এদের মধ্যে একজন কৌশলে তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনটি খুলে নেন। তিনি টের পাওয়া মাত্রই তারা সটকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তিনি চিৎকার দিয়ে জানান দিলে উপস্থিত অনন্য রোগীরা তাদেরকে আটক করেন। এসময় তার কাছ থেকে খোয়া যাওয়া চেইনটি উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী জানান, সকালে চুরি করার সময় রোগী ও তাদের স্বজনরা হাতেনাতে আটক করে দুই নারীকে। এ ঘটনায় হাসপাতালের দুইজন স্টাফ বাদী হয়ে তাদের নামে মামলা করেন।
হাসপাতালে প্রায় চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় দল রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নিচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়েছে এবং তৎপর রয়েছে। খুব শিঘ্রই প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হবে।
