নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ইসিজি বিভাগের প্রায় ৪০ লাখ টাকা ‘ঘাপলা’ অডিটে ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে অডিট আপত্তি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। আর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার স্মারক নং- ২৫০শঃ বিঃ জেঃ হাস/ যশোর/ শা-০৫/২০২২/৪৯৭৮/৮।
মঙ্গলবার তদন্ত বোর্ডের প্রতিবেদন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর জমা দেওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত বোর্ডর সদস্য যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইমদাদুল হক রাজু।
তদন্ত কমিটির দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অডিটে হাসপাতালের ইসিজি শাখায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৬০ টাকা অডিট আপত্তি উথাপিত হয়েছে। যার ফলে নিরীক্ষায় আপত্তিকৃত ইসিজি পেপার সংগ্রহ, ব্যবহার, ও মজুদ সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। এজন্য মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুর রহমানকে সভাপতি ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দিপাঞ্জন সাহাকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন অধ্যাপক ডা. ইমদাদুল হক রাজু, হাসপাতালে জুনিয়র কার্ডিওলজি ডা. তৌহিদুল ইসলাম। তাদের তদন্ত করে ১৫ মার্চের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত বোর্ডের প্রতিবেদন হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে জমা পড়েনি।
বোর্ডর সদস্য মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইমদাদুল হক রাজু জানান, তদন্ত সম্পন্ন করা যায়নি। তাই তদন্তের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. দিপাঞ্জন সাহা বলেন, তদন্ত বোর্ড এ সংক্রান্ত কাজ করছে। কাজ সমাপ্তি হলে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।
তবে ইসিজি বিভাগের সাবেক ইনচার্জ দীপক রায় জানান, হাসপাতালের ইসিজি শাখায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মেশিন নষ্ট থাকায় কোন পরীক্ষা হয়নি। ফলে সেই সময় ইসিজি পেপার স্টোরে জমা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তুহাসপাতালের স্টোরে দায়িত্বে থাকা রতন কুমার সরকার রেজিস্টারে এন্ট্রি করেননি। ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৬০ টাকা অডিট আপত্তি করেছে। তদন্ত করলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে বলে তিনি দাবি করেন।
এব্যাপারে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আক্তারুজ্জামান জানান, তদন্ত কমিটিতে প্রথমে যাকে রাখা হয়েছিল তিনি দায়িত্ব নিতে না চাওয়ায় অন্যদের দিয়ে কমিটি করেছি। আশা করছি তদন্ত কমিটি শিগগিরই রিপোট জমা দেবে।