নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।
সভায় বক্তারা বলেন, কিডনি ডায়ালাইসিস ও নেফ্রোলজি ইউনিটের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে এ ইউনিট চালু করা যাচ্ছে না। অপরদিকে লিফটে আটকে আছে আইসিইউ ইউনিট। কিডনি ডায়ালাইসিস চালু হলে যশোরবাসীকে ঢাকা বা খুলনা যেতে হবে না। যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকেই মিলবে উন্নত সেবা। একদিকে যেমন সময় ও অর্থ বাঁচবে অপরদিকে চিকিৎসা সেবার মান বাড়বে এ হাসপাতালের।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ, যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু হাসনাত মোহম্মদ আহসান হাবিব, যশোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, বিএমএ যশোর শাখার সভাপতি ডাক্তার একেএম কামরুল ইসলাম বেনু, স্বাচিপের সদস্য সচিব ডাক্তার গোলাম মোর্তুজা, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর হেলাল, মেহেদী হাসান মিন্টু, এসএম আফজাল হোসেন, মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, আব্দুল গণি, নার্সিং প্রতিনিধি মোফাজ্জেল হোসেন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী প্রতিনিধি শাহজাহান আলী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাসপাতালের আরএমও ডা. পার্থ প্রতিম চক্রবর্ত্তী।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট ও আইসিইউ ইউনিটের সমস্যাগুলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানে যা করণীয় তিনি তা করবেন। হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে চিকিৎকদের মানব সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে চিকিৎসকদের প্রাইভেট ক্লিনিকে গুরুত্ব না দিয়ে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের সেবাদানে এগিয়ে আসতে হবে। সভার আলোচ্য সূচির মধ্যে কয়েকটি বিষয় সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি। এ সরকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, বরাদ্দ অনুযায়ী হাসপাতালে রোগীর খাবার নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে ওয়ার্ড মাস্টাররা নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নিতে হবে।