নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুর রহিম নামে যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় তার মেয়ের স্বর্ণের কানের দুল, একটি মোবাইল ফোনসেট এবং স্বাক্ষর করা একটি ব্যাংক চেকের পাতা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ অভিযোগ করা হয়েছে।
১৯ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে যশোর শহরতলীর ঝুমঝুমপুর মুক্তিযোদ্ধা কলোনী পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলো, একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে চান্দু মিয়া, আব্দুস সাত্তারের ছেলে বনি এবং ইসলামের ছেলে চয়ন।
ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমের মেয়ে স্মৃতি খাতুন জানিয়েছেন, আব্দুর রহিম একজন যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা কললোনিতে সরকারিভাবে প্রাপ্ত জমিতেই বাড়ি এবং একটি দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা ও বসবাস করে আসছিলেন। আসামিদের সাথে তাদের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। আসামিরা প্রায়ই সময় বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ও তার পরিবারকে মারপিটের জন্য উদ্যত হয়। কয়েকদিন আগে এলাকার এক জনপ্রতিনিধি আসামিদের সাথে বিরোধ মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে বাদীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজি না হওয়ায় তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। গত ১৯ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে আসামিরা দেশিয় বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
গালি দিতে নিষেধ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম। এক পর্যায়ে আসামিরা আব্দুর রহিমকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এসময় তার মেয়ে স্মৃতি এসে পিতাকে মারপিটের ঘটনায় মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে তার মেয়ে স্মৃতি খাতুন এবং স্ত্রীকে মারপিট করে দুর্বৃত্তরা। শুধু তাই নয় মেয়ের কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন সেট, একটি স্বর্ণের কানের দুল এবং ৩০ হাজার টাকা লিখে স্বাক্ষর করে রাখা একটি ব্যাংক চেকের পাড়া ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, তার মেয়ে ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় সোমবার সকালে স্মৃতি খাতুন কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলেও সেখানে এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তবে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে জানিয়েছেন। ফলে পুলিশি ব্যবস্থা না নেয়ায় আসামিরা প্রকাশ্যে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
