নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে জেলা যুবদল আয়োজিত আন্দোলন সংগ্রামে কারা নির্যাতিত নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিডি হল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এসময় তিনি বলেন, সরকার বেনজির-আজিজদের তৈরি করেছে। সরকারের নিচ থেকে ওপর মহল পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারা জনগণের রক্ত ঘামের অর্থ লোপাট করে অবৈধভাবে বিত্ত বৈভাবের মালিক হয়েছে। দেশের সমগ্র জনগণ প্রতিনিয়ত মাফিয়াদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ তাদের নির্যাতনের বাইরে নন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ চোর ডাকাতদেরকে এমপি বানিয়ে পবিত্র সংসদকে কলঙ্কিত করেছে। জনগণ তাদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। যে চোর ডাকাতরা জনগণের অর্থ লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে, এদের বিচার দেশের মাটিতেই হবে। কেবল সময়ের অপেক্ষামাত্র।
তিনি বলেন, গেল ৭ জানুয়ারি ফুফাতো ও খালাতো ভাইয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অবৈধ ডামি নির্বাচন জনগণ তারেক রহমারেন ডাকে প্রত্যাখ্যান করে। কার্যত্র সেইদিন রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির বিজয় অর্জিত হয়। এখন জনগণ চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষায়। আমরা আন্দোলন করছি, জনগণের স্বার্থে নিজেদের স্বার্থে নয়। এই আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত ত্যাগ স্বীকার করছি। আমাদের ত্যাগ কোনি দিন বৃথা যাবে না।
জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল জব্বার খান, সহ সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, আলমগীর হোসেন সোহান, খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইবাদুল হল রুবায়েত, ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রুম্মন, সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন রাজু, সদস্য আশরাফুল কবির সুমন, শাহজাহান রনি, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম, যুবদল নেতা পলাশ হোসেন প্রমুখ। পরে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু গেল ২৮ অক্টোবরের পর থেকে কারাবরণ কারা নির্যাতিত জেলা যুবদলের অধীনস্থ ১৬টি ইউনিটের তিন শতাধিক নেতাকর্মীর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা করেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, নগর যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব শেখ রবিউল ইসলাম রবি ও সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তানভীর রায়হান তুহিন।