নিজস্ব প্রতিবেদক
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতনের মামলায় খালাস পেয়েছেন নিলফামারী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাবেক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। তিনি বর্তমানে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। সোমবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ আদেশ দেন। তিনি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আফতাবনগর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। এরআগে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন আদালতে এ মামলা করেন। এ মামলায় তার বোন রানী খাতুন ও ভগ্নিপতি জিয়াউর রহমানকেও আসামি করা হয়। বাদীর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকলকে এ মামলা থেকে খালাস প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহরে মাসুদ রানার সাথে ফারজানার বিয়ে হয়। সে সময় ফারজানার বাবা পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল ও দুই লাখ টাকার সোনার অলংকার যৌতুক হিসেবে দেন। কিন্তু ননদ রানী খাতুন ও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের পরামর্শে ঢাকার পূর্বাঞ্চলে প্লট কেনার জন্য বিভিন্ন সময় ফারজানার কাছে যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন মাসুদ রানা।
আরজিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ফারজানা বিভিন্ন সময় মাসুদকে পাঁচ লাখ টাকাও দেন। কিন্তু আরও পাঁচ লাখ টাকার দাবিতে তাকে নির্যাতন করতে থাকেন মাসুদ। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকায় ফারজানার বাবার বাড়িতে যান মাসুদ। সেখানে এসেও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মাসুদ মারধর করে ফারজানাকে জখম করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ বলেন, ফারজানা আদালতে ক্রটিপূর্ণ মেডিকেল সনদ দিয়েছেন। এছাড়া ৫ জন সাক্ষীর দেয়া বক্তব্যর সাথে আরজির অভিযোগের অসঙ্গতি আদালতের চোখে দৃশ্যমান হয়েছে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মাসুদ রানাসহ সকল আসামিকে খালাস প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ গফুর এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রায়ের বিপক্ষে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।