নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি ও মারপিটের অভিযোগ এনে মৎস্য কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে ডাক্তার উম্মে হাবিবা আদালতে মামলা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদের আদালতে তিনি মামলা করেন। বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আদেশ দিয়েছেন।
ডাক্তার উম্মে হাবিবা যশোর সদর উপজেলার বারীনগর গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে। তার স্বামী কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা মৎস্য অফিসার তারেক আজিজ। তিনি ঝিনাইদহ সদরের খোর্দ্দ গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, উম্মে হাবিবা ঢাকার সলিমুল্যাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করে বর্তমানে সেখানেই ইন্টার্ন করছেন। তার স্বামী তারেক আজিজ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা মৎস্য অফিসার পদে কর্মরত আছেন। ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় উম্মে হাবিবা’র পিতার কাছে তারেক আজিজ ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন। ওই সময়ই যৌতুক দিতে পারবেন না এবং বিয়ে দিবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তার উম্মে হাবিবার পিতা। তখন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে যৌতুক ছাড়াই বিয়ে করেন তারেক আজিজ। বিয়ের ৬ মাস যেতেনা যেতেই ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তারেক আজিজ প্রায়ই সময় ডাক্তার উম্মে হাবিবাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। কিন্তু পিতার আর্থিক অসচ্ছলতার কথা ভেবে ডাক্তার হাবিবা নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করতে থাকেন। ২০২৩ সালের ২৩ জুন আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে ডাক্তার হাবিবার উপর নির্যাতন করে তার পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেন তারেক আজিজ। দীর্ঘদিন পিতার বাড়িতে অবস্থান করার পরও তারেক আজিজ স্ত্রীর কোন খোঁজখবর নেননি। তারেক আজিজকে গত ১২ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে ডাক্তার হাবিবার পিতার বাড়িতে ডেকে আনা হয়। এসময় উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে যৌতুক ছাড়া ডাক্তার হাবিবাকে নিয়ে সংসার করার জন্য তারেক আজিজকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু যৌতুক ছাড়া ডাক্তার হাবিবাকে নিয়ে সংসার করবেন না এবং বেশি যৌতুক নিয়ে অন্যাত্র দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করবেন বলে চলে যান তারেক আজিজ।
মামলার বাদী ডাক্তার উম্মে হাবিবা বলেছেন, বিয়ের পর থেকেই ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নিয়াতন করে আসছিলেন তার স্বামী তাকের আজিজ। বিষয়টি তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে জানানো হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় আদালতে তিনি মামলা করেছেন।