কল্যাণ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন থাকবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনযাপনের উপর। এই জীবনযাত্রায় যদি হঠাৎ করেই বড় ধরণের পরিবর্তন আসে, তখন শর্করার মাত্রা বিঘ্নিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে গেলে শুধু ওষুধ খেয়ে গেলেই হবে না। নিজের শরীর, খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চার বিষয়েও একটু সচেতন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া ছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর কোন কোন বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন?
মাত্রা বুঝে ওষুধ খান
উৎসবের মৌসুমে চিকিৎসকের বারণ করা এমন কত কী যে খেয়েছেন, তার ঠিক নেই। তার ফলে চড়চড় করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেছে। কিন্তু ওষুধ খাচ্ছেন সেই আগের মাত্রা অনুযায়ী। এর ফলে শর্করার মাত্রা তো কমছেই না, উল্টা চিন্তায় পড়ে ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন একটি উপায়ে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
পানির ঘাটতি যেন না হয়
শরীরে পানির অভাব হলে নানা রকম রোগের উৎপত্তি হয়। রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে গেলেও পানি খাওয়া জরুরি। প্রতি দিন অন্তত ৬ থেকে ৭ গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করা থাকার ফলে যদি কিডনির সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই পানি মেপে খেতে হবে।
ঠিক পরিকল্পনা করে খাবার খান
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ফল, শাক-সব্জি, দানাশস্য সবেতেই প্রাকৃতিক চিনি থাকে। সুতরাং সারাদিনে আপনি কী খাবেন বা কতটা খাবেন, তার উপর নির্ভর করবে রক্তের শর্করার মাত্রা। কীভাবে দিনের প্রতিটি খাবারের ক্যালোরি অনুযায়ী ভারসাম্য বজায় রেখে খাবার খাবেন, তার পরিকল্পনা আগে থেকে করে রাখাই ভাল।
শরীরচর্চা করতেই হবে
ছুটির মেজাজে থাকলে আর শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করে না। অনেকেই মনে করেন, টানা শরীরচর্চার রুটিন থেকে দুইটি দিন বাদ পড়লে বোধ হয় এমন কিছু ক্ষতি হবে না। সাধারণ, সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা না হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হতেই পারে। তাই খুব বেশি কিছু না করলেও প্রতিদিন অন্তত পক্ষে ১০ মিনিট হাঁটাহাটি বন্ধ করা যাবে না।
কার্বজাতীয় খাবার কম
সারাদিনে যত রকম খাবার খাচ্ছেন, তার মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সাধারণ বাড়ির খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আনতে যাবেন না। এতে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: যে ছয় কারণে শীতে প্রতিদিন ছোলা খাবেন