নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের ফিলিং স্টেশন বা পেট্রোল পাম্প মনিটরিংয়ের সময় একটি পেট্রোল পাম্পে ডিজিটাল তেল বিক্রির মিটার মেশিনে লুকোচুরি ধরেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএসটিআই যশোরের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে রজনীগন্ধা ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার সত্যতা পান। এরপর ওই তেল পাম্পের ছয়টি ডিসপেন্সিং ইউনিটের (ডিজিটাল মিটার মেশিন) মধ্যে চারটি সিলগালা করে দেন বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা।
এ সময় জেলা বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক রাকিব ইসলাম এবং ফিল্ড অফিসার খালেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিএসটিআই’য়ের পরিদর্শক রাকিব ইসলাম বলেন, রজনীগন্ধা পেট্রোল পাম্পে ডিজিটাল মিটার মেশিনে প্রতি ১০ লিটার অকটেনে ১৫০ মিলি, প্রতি ১০ লিটার পেট্রোলে ৬০ মিলি ও প্রতি ১০ লিটার ডিজেলে বিক্রিতে এক হাজার ২০ মিলি (এক লিটার ২০০ মিলিলিটার) তেল কম পাওয়া যায়।
বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক প্রকৌশলী আসলাম শেখ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের জানালে তাদেরকে সাথে নিয়ে রজনীগন্ধা ফিলিং স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাদের তেল বিক্রির ডিজিটাল মেশিনে ত্রুটি পাওয়ায় এবং প্রতারণার সত্যতা পাওয়ায় ওই পাম্পের ৪টি ইউনিট সিলগালা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল পাম্প মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীদের শতভাগ সহযোগিতা করা হবে। তারা যখনই অসংগতি পাবে আমাদের জানালে আমরা তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিব।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ ও জেসিনা মূর্শীদ প্রাপ্তি জানান, জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ এবং তা কার্যকরের নির্দেশ ঘোষণার পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী সরেজমিনে যশোরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প তদারকির সময় রজনীগন্ধা তেল পাম্পে তেল বিক্রিতে লুকোচুরি দেখতে পান তারা। এরপর সোমবার সকালে বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক প্রকৌশলী আসলাম শেখকে বিষয়টি অবগত করেন।