রাজগঞ্জ প্রতিনিধি: কার্তিকের শেষে গ্রামাঞ্চলে নামতে শুরু করেছে শীত। আর শীতের আগমনে যশোরের যশ খেজুরের রস সংগ্রহে গাছ কাটতে ও ভাড় পাততে শুরু করে দিয়েছেন গাছিরা।
রাজগঞ্জ অঞ্চলে অগ্রিম রসের জন্য খেজুর গাছ কাটতে ব্যস্ত গাছি মশিউর রহমান। শীতের আবহে সবকিছুই যেন বদলাতে শুরু করেছে, হাতে গাছিদা নিয়ে ও কোমরে দড়ি বেঁধে ভাড় পিছনে ঝুলিয়ে ভাড় ঝুলানোর কাজ করছেন গাছিরা।
লক্ষণপুর গ্রামের গাছি মাসুম বিল্লাল বলেন, প্রতিদিন আমরা ৪০ থেকে ৫০টি গাছ কাটি। এক ভাড় রসে এক কেজি গুড় হয়। ১০ থেকে ১২ভাড় রস পেলেই ১০ কেজি গুড় করা যায়। এতে হাজার তিনেক টাকা আয় হয়।
একই গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ বলেন, আগের মতো খেজুর গাছ আর নেই। ইতিমধ্যেই শহরের লোকজন গ্রামের গাছিদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। কেউ কেউ গাছিদের কাছে অগ্রিম টাকা তুলে দিচ্ছেন ভালো রস, গুড় ও পাটালি পাওয়ার আশায়। অগ্রিম টাকা পেয়ে অনেক গাছি রস সংগ্রের উপকরণ কিনছেন। আগাম রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
একসময় চালুুয়াহাটি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গ্রাম খেজুরের রস, গুড় ও পাটালি উৎপাদনে প্রসিদ্ধ ছিল। মনিরামপুর উপজেলার নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রামে রস গুড় উন্নতমানের। যা আবার চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। তারপরও যে রস ,গুড় ও পাটালি তৈরি হয়,তা দিয়ে শীত মৌসুমে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়।
উপজেলা চালুুয়াহাটি ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা মারুফুল হক ও হাবীবুর রহমান বলেন, খেজুরের রস থেকে গাছিরা পাটালী তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে, এটা একটা লাভজনক ব্যবসা। এখানকার কৃষকরা ভেজাল গুড় উৎপাদন করে না। গুড়ে ভেজাল মেশানোর অপকারিতাও কৃষকদের মধ্যে অবহিত করা হয়।