রাজগঞ্জ (মণিরামপুর) প্রতিনিধি
বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুল। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষা ফুলের মৌ-মৌ গন্ধ চারদিকে। রাজগঞ্জের মাঠে সরিষার আবাদ হয়েছে চোখে পড়ার মতো। আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই কৃষকের ঘরে উঠবে সরিষা। কম খরচে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের ও অধিক ফলনশীল এই ফসলের চাষ করেছেন। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষিরা।
মণিরামপুর চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ইউনিয়নে সাড়ে আটশ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নে কমবেশি সরিষার আবাদ হয়ে থাকে। আমন ও বোরো চাষের মধ্যবর্তী সময়ে এসব জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।
হাকিমপুর গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। আবাদও ভালো হয়েছে। আর কিছু দিনের মধ্যে ফসল ঘরে উঠবে। এখন ভালো দাম পেলেই হয়। প্রথম প্রথম সরিষার দাম ভালো পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে তেমন আর দাম পাওয়া যায় না। সংরক্ষণ করে রাখতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের মতো ক্ষুদ্র কৃষকদের পক্ষে ফসল ধরে রাখা সম্ভব হয় না।
হরিশপুর গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন বলেন, লাভবান হতে সরিষার আবাদে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা। সরিষা উৎপাদনে কম সার, সেচ, কীটনাশক ও নিড়ানির প্রয়োজন হয় না। খরচ কম ও স্বল্প সময়ে এ ফসল হয়ে থাকে। আবার ওই জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। প্রতি বিঘায় সরিষার পরিমাণ ৬ থেকে ৭ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
মণিরামপুর চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, সরিষা একটি আগাম ফসল। এরপর বোরো আবাদ হয়ে থাকে। এ বছর কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এবার কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।
