নিরঞ্জন চক্রবর্তী, নেংগুড়াহাট
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। কলেরা স্যালাইন সংকটের কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন গ্রাম্য চিকিৎসকেরা। অনেক রোগী উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
রাজগঞ্জ অঞ্চলে ডায়রিয়া রোগী ব্যাপকহারে বাড়লেও বাজারের কোনো ওষুধের দোকানে কলেরা স্যালাইন নেই। স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকরা বলছেন, প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন। স্যালাইন সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। রাজগঞ্জ বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি থেকে কলেরা স্যালাইন সরবরাহ নেই। কলেরা স্যালাইন বাদে অন্য সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ রোগীরা ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। রাজগঞ্জ বাজারের কয়েকটি ডাক্তারখানায় চিকিৎসা নিতে আসা পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়াসহ পেটের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা জানিয়েছেন, অসুস্থ হলেই ওষুধ কিনতে কিনতে জীবনে আর পারছি না। ওষুধের দাম এতো বেশি হলে কিভাবে কিনবো?। রাজগঞ্জ বাজারের একজন গ্রাম্য চিকিৎসক জানিয়েছেন, ডায়রিয়ার লক্ষণ নিয়ে প্রতিদিন ২৫/৩০ জন রোগী আসছেন। অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাজগঞ্জ এমন একটি জায়গা, যেখানে একজন এমবিবিএস ডাক্তার নেই। ভালো মানের হাসপাতাল বা ক্লিনিকও নেই। জরুরি অবস্থায় রোগীদের নিয়ে উপজেলা বা জেলা সদরে ছুটতে হয়। সময়মতো চিকিৎসা দিলে তিন-চার দিনেই ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আসে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, রাজগঞ্জ অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে যেয়েও প্যারাসিটামল ছাড়া কোনো ওষুধ পাওয়া যায় না।