রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ, নেংগুড়াহাট এলাকায় প্রথমবারের মত ভুট্টা চাষ করে রেকর্ড করেছেন কৃষক সুমন হোসেন ও সবুজ হোসেন। এই দুই কৃষক ১ একর ৮০শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বল্প খরচে অধিক ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে বলেও বলেন কৃষক সুমন ও সবুজ।
স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, ভুট্টা চাষে দরিদ্র কৃষকরা আর্থিকভাবে সফল হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের পানিছাত্র ও মোবারকপুর এলাকায় মাঠের ভুট্টাক্ষেতে সবুজ গাছগুলো দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ক্ষেতগুলোতে পানি ও কীটনাশক দেয়া এবং পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের পর ইতিমধ্যে চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। আগামী বছরে আরো বেশি করে ভুট্টা চাষে করবে কৃষকরা। লাভ জনক হওয়ায় এবং স্থানীয় মাটিতে ভালো ফলন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মোবারাকপুর গ্রামের ভুট্টাচাষি সবুজ হোসেন বলেন, ভুট্টা চাষে আগে লাভ হতো না। এখন ভুট্টা চাষে ভালো লাভ হচ্ছে। হাইব্রিড জাতের ভূট্টা চাষে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মণ ফলন হয়েছে। আগে এক বিঘা জমিতে ২৫ থেকে ৩০ মণ ভুট্টা হতো। আগের থেকে ভুট্টার এখন দামও ভালো। অপর চাষি সুমন হোসেন বলেন, আমি এখন যে জমিগুলোতে ভূট্টা চাষ করছি।
সেগুলোতো আগে অন্য ফসল চাষ করতাম। সুইজারল্যান্ড সরকারের একটি প্রকল্প থেকে আমাকে প্রথম হাইব্রিড জাতের ভূট্টার বিজ দিয়েছিল। পরে হাইব্রিড জাতের বিজ লাগিয়ে দেখেছি ভালো ফলন হয়েছে। চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান বলেন, ভুট্টা চাষে কৃষকরা এখন লাভবান হচ্ছে। বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই এলাকার কৃষকদের হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষে সহযোগিতা ও বীজ দেয়া হয়েছে। এলাকার কৃষকরা যাতে ভূট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারেন কৃষকদের সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
