ঢাকা অফিস
রাজধানীর পল্টন-মতিঝিল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জামায়াতের কর্মীরা। মালিবাগ-মৌচাক এলাকায়ও মিছিল বের করার চেষ্টাকালে তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এসব স্থান থেকে পুলিশ দলটির ১০-১৫ জনকে আটক করেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটক থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর পর্যন্ত এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। অন্যদিকে মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সঙ্গে মসজিদে নামাজ শেষে জামায়াতের ব্যানারে কিছু লোক মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে জামায়াতের লোকজন।
বিএনপির ঘোষিত ‘যুগপৎ কর্মসূচি’র গণমিছিলের সঙ্গে একাত্ম হয়ে শুক্রবার জামায়াতও ঢাকায় একই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ বিএনপিকে এ কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিলেও জামায়াত পায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, জামায়াত মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়ায় দলটির নেতা-কর্মীরা। আশপাশের গলিগুলো থেকেও জামায়াতকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছে, জবাবে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিপেটা করছে।
পুলিশ বলছে, জামায়াত নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। সংঘর্ষস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সঙ্গে মসজিদে নামাজ শেষে জামায়াতের ব্যানারে কিছু লোক মিছিল বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা জামায়াত-শিবিরের লোক কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা মিছিলের নামে সরাসরি পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যারা সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আটক করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে আমরা নিরাপত্তা বলয় রেখেছি, জনগণের যেন ভোগান্তি না হয়। ঢাকা শহরে যেহেতু জামায়াতকে গণমিছিলের অনুমতি দেয়া হয়নি, তারা কোথায় করবে আমরা তা জানি না।
তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ যেন না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছি। আগামীকাল থার্টি ফাস্ট নাইট আর আজ রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের কর্মসূচি বিবেচনায় অন্য কোনো ঘটনা যেন না ঘটতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। যেহেতু জামায়াতকে গণমিছিলের অনুমতি দেয়া হয়নি, তাই তারা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।