কল্যাণ ডেস্ক
ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে মাছ ধরা। সাগরে নামার প্রস্তুতিও শেষ করেছেন জেলেরা। এখন শুধু রাত ১২টা বাজার অপেক্ষা।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেরামত করা নৌকা নিয়ে জাল, রশিসহ সার্বিক মালামাল নিয়ে বসে আছেন জেলে নাসির তালুকদার।
বসে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এরমধ্যে সাগরে নামি নাই। কয়দিন বাড়ির টুকটাক কামকাইজ করছি। পরে নৌকা মেরামত, জাল বুনানো, খুঁটা সংগ্রহ করাসহ সবকিছু রেডি করেছি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাত ১২টা বাজতেই সাগরে নামমু।’
তবে শুধু নাসির তালুকদার নয়; উপকূলীয় জেলেদের আশা, সাগরে নামার পর পর্যাপ্ত ইলিশ পেলে ঋণ পরিশোধ করে এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে পরিবার নিয়ে একটু সুখে থাকা।
আলীপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জেলেরা মেনেছেন। তবে সরকার কৃষকের মতো জেলেদের ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় আনলে তাদের জীবনটা এত দুর্বিষহ হতো না। আমাদের আশা, সাগরে নামার পর জেলেরা ভালো মাছ নিয়ে ফিরবেন।
নৌপুলিশ কুয়াকাটা ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে জেলে ও মৎস্য নেতারা অনেক সচেতন। তাই বেশিরভাগ জেলেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও এবারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে। আশা করছি ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।
মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে গত ১২ অক্টোবর থেকে নদী ও সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এসময় ইলিশ পরিবহন, মজুত, বেচাকেনা ও বিনিময় নিষিদ্ধ ছিল।