নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদরের রূপদিয়া ও কচুয়ায় পৃথক দুই দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারা হলেন, রূপদিয়া বাজার শ্মশান পাড়ার জবেদা খাতুন (৭৫) ও চাউলিয়া হাইওয়ে তেল পাম পাড়ার ছাত্ররীগ কর্মী রাকিব হোসেন (২২)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত জবেদার ছেলে সিদ্দিক হোসেন জানান, রোববার দুপুরে রূপদিয়া বাজার শ্মশান পাড়ার নিহতের মাদকাসক্ত পোতাছেলে বাদশা (২২) ও তার বাবা ইসমাইলের মধ্যে ব্যাটারি চালিত ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বাদশার দাদী জবেদা খাতুন ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রির কারণ জানতে চান। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দাদীকে পাশে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এসময় তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে সোমবার দুপুরে তাকে খুলনা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিশ্চিত হতে পুনরায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান তাকে পরীক্ষা করে বিকেল ৫টা ৫মিনিটে তাকে মৃত নিশ্চিত করেন। ওই ঘটনার সময় বাদশাকে ধরে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেন।
এদিকে কচুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় রূপদিয়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ রাকিব নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আরো চার নেতা। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত দশটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত রাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিলো।
আহতদের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান ধাবকের ক্যাডাররা লাঠি, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ।
আহতরা হলেন, কচুয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী ক্লে, ইস্তাক আহমেদ অপু, শহিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমরান আলী।
আহত ইমরান আলী বলেন, শনিবার যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পিতা কচুয়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান কাজী শাহেদ আহমেদ স্মরণে শোকসভা করা হয়। এ কারণে তারা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো। পরে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। ঘটনার সময় আমরা নিমতলী টেকেরহাট বাজারে আমার দোকানে বসেছিলাম। এ সময় চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান ধাবকের ভাইপো হাফিজ ধাবক, সামাদ ধাবক, মুস্তাক ধাবক, আজিজ ধাবক, মফিজ ধাবক ও চেয়ারম্যানের ভাগ্নে ইসমাইল গাজী লাঠি, শাবল, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি আরো জানান, রাকিবের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি মারা যান।
এই দুটি হত্যাকাণ্ড বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।