নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে পৃথক ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাসুদ খন্দকার (৪৫) ও তার ছোট ভাই মাহমুদুর খন্দকার (৩৫) ও সদরের সুজলপুরের সাকিব হোসেন (২৫)।
আহত ছোট ভাই মাহমুদুর রহমান জানান, শুক্রবার গভীর রাতে তারা দুই ভাই রূপদিয়া বাজারে অবস্থিত মাসুদ গার্মেন্টস বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশে মোটর সাইকেলে রওনা দেন। জিরাট গ্রামের ফুডগোডাউনের সামনে পৌঁছানো মাত্রই ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাশের কবরস্থান থেকে বের হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় ছোটভাই ঠেকাতে গেলে তাকেও কোপানো হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীদের সাথে ওই এলাকার সুমন ছিলেন।
আহতের স্বজনেরা জানান, রূপদিয়ার শাওন প্লাজা ও ইমন ব্রিকসের মালিক গোলাম হোসেনের কাছে টাকা পেতেন মাসুদ খন্দকার। শাওন প্লাজায় মাসুদ দোকান ভাড়া নেন। পরে তা ছেড়ে দেন। কিন্তু অগ্রীম নেয়া টাকা ফেরত না দিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করেন গোলাম। শুক্রবার ওই টাকা ফেরত আনতে যায় মাসুদ। এসময় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয়। এরপর গোলামের ম্যানেজার সুমনের নেতৃত্বে রাতে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন দুই ভাই।
অপরদিকে একইদিন রাতে সুজলপুর জাকারিয়ার দোকানের সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে সাকিব হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে। সাকিবের অভিযোগ অপু, ইরিয়ান ও নুসূয়া তিনজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে গুরুতর অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শাহীনুর রহমান সোহাগ জানান, সাকিব নামে একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হলে তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আর আরেকটি ঘটনায় মাসুদের কপালে, নাকে ও ঘাড়ে একাধিক কোপের আঘাত পাওয়া গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। তবে তার ছোট ভাই আশঙ্কামুক্ত।
যশোর কোতোয়ারি তানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছে, পৃথক ছুরিকাঘাতের খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।