নিজস্ব প্রতিবেদক
গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় যশোর নগর ও সদর উপজেলা বিএনপি দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। মঙ্গলবার বিকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, ডামি সরকার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়। সরকার জানে বেগম খালেদা জিয়া একটি শক্তির আঁধার।
যাকে বছরের পর বছর কারারুদ্ধ করে রাখার পরও, তার নামের ওপর দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজও একতাবদ্ধ হয়। বেগম খালেদা জিয়ার কথা বন্ধ করে দেওয়ার পরও, নীরবতার কি শক্তি সেটি আজ দেশের জনগণ সেটি প্রত্যক্ষ করে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) স্বয়ং সেটি উপলদ্ধি করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আপনি সাম্প্রতি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ঘুরে এসেছেন। জনগণ জানতে চায়, আপনি দেশের জন্য কি এনেছেন? আপনি তো সবকিছু দিয়ে এসেছেন। বিষয়টি এমন যেন, আপনি আপনার পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে এসেছেন। দেশের স্বার্থ বিক্রি কিংবা দেশের বুক চিরে রেল ট্রানজিট চুক্তি করার অধিকার কে দিয়েছে আপনাকে ? এই দেশের জনগণের ভোটে তো আপনি নির্বাচিত নন। জনগণের সমর্থনে তো আপনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেননি। যে নির্বাচন দেশের জনগণ বর্জন এবং বয়কট করেছিল সেই নির্বাচনে আপনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কর্মকান্ড প্রমাণ করে, আপনি একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী নন।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রহসনের বিচারে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছেন। কিন্তু আপনার দলের আতি পাতি নেতারাও কিছু হলে, বিদেশে পাড়ি জমায় উন্নত চিকিৎসার্থে। অথচ বেগম খালেদা জিয়াকে সেদিন গভীর রাতে শুধুমাত্র আপনার (সরকার) নিদের্শনার কারণে একটি বেসরকারি হাসপাতাল তার জীবন রক্ষার ইনজেকশন এবং দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছিল। কোন ব্যক্তির কৃপায় কেউ বেঁচে থাকে না। মহান রাব্বুল আলামীনে অশেষ কৃপায় আপনাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের হৃদয়ে অবস্থান করছেন এবং করবেন।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, ফারুক হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক জহিরুল আলম প্রমুখ।