নিজস্ব প্রতিবেদক: লেবুতলা ইউনিয়নে শিকারিদের হাতে প্রতিনিয়ত শতশত পাখি মারা পড়ছে। প্রকৃতির সৌন্দর্য হলো পাখি। আর এই পাখি প্রায় বিলীন হতে চলেছে এ ইউনিয়ন থেকে।
গত বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলা বীর নারায়ণপুর গ্রামের মসজিদের সামনে দু’জনকে পাখি শিকার করতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন নিষেধ করলেও তারা পাখি মারা বন্ধ করেনি। পাখি শিকারের ফাঁদ তৈরি করে গাছে গাছে পেতে রেখে অপেক্ষা করতে থাকে কখন পাখি ফাঁদে আটকা পড়ে। এমনিভাবে প্রতিনিয়ত পাখি শিকার করে যাচ্ছে ওসমানপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান এবং ইউসুফ আলী।
এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, পাখি মারলে কি হয়? মাঝে মধ্যে পাখি মারতে আসি। পাখি মারতে আমাদের খুব ভালো লাগে।
ইউসুফ আলী স্থানীয় লোকদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। স্থানীয় লোকদের অভিযোগ তারা নিয়মিত পাখি মারতে আসে।
স্থানীয় জামাল হোসেন লিটু জানান, অনেকবার তাদের নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা আড়ি করে পাখি মারতে থাকে। আজো তাদের নিষেধ করলে বিভিন্ন উল্টোপাল্টা কথা বলেছে। পাখিমারা আইনের কথা বললে তারা বলে আমরা পুলিশের সামনে পাখি মারি। তারা তো কিছু বলে না।
বীর নারায়ণপুর গ্রামের ইমন বলেন, প্রায়ই দেখি এই দুইজন বিভিন্ন বাগান থেকে পাখি মারে। আমরা নিষেধ করলেও শোনে না।
গ্রাম্য ডাক্তার আমিনুর তাদের বুঝিয়ে বলার পরও তারা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে পাখি শিকার করেছে। তাদের খাঁচায় কয়েকটি পাখিও দেখা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এইভাবে পাখি শিকার করলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলীন হয়ে যাবে।