বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ প্রায় সাড়ে ৫ লাখ গ্রাহক। প্রচ- গরমের মধ্যে যশোরের শার্শা-ঝিকরগাছায় ব্যাপক আকারে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে না যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। যে কারণে বিভিন্ন সময় লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছে। আর ঝড় বৃষ্টি ও প্রায় গাছ গাছালি পরিস্কারের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না এ অঞ্চলে।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে উপজেলার সাড়ে ৫ লাখ গ্রাহক অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রতি পরিবারে যদি গড়ে চারজন করে লোক থাকে তাহলে ২২ লাখ মানুষের বিদ্যুৎবিহীন ঘরে নাভিশ্বাস উঠছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
লোডশেডিংয়ের মাত্রা শহরের তুলনায় গ্রামে অনেক বেশি। ফলে দুর্ভোগ বেশি তাদের। শহরের গ্রাহকরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও যতকষ্ট সব গ্রামের মানুষের। কারণ তাদের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। হ্যারিকেন, কুপি তাদের একমাত্র ভরসা।
শহরে অভিজাত শ্রেণির বসবাস। সাথে বিভিন্ন ধরনের অফিস, আদালত ও কলকারখানা রয়েছে। এই কারণে বিদ্যুতের বরাদ্দ বেশি দেয়া হয়। ফলে, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম। এর বাইরে শহরের বেশিরভাগ বাড়িতে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো বাড়িতে আইপিএস, আবার কোনো বাড়িতে জেনারেটরের ব্যবস্থাও আছে। এ কারণে লোডশেডিং হলেও গরমের কষ্ট এসব পরিবারের সদস্যরা খুব একটা টের পাননা বললেই চলে।
অপরদিকে, গ্রামের মানুষের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। তারা পুরোপুরি বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। অথচ এই গ্রামেই বেশি লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। প্রচন্ড তাপদাহে লোডশেডিং জীবনকে ওষ্ঠাগত করে তুলছে।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (সদস্য সেবা) সাঈদ হোসেন জানিয়েছেন, তাদের ৫ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। প্রতিদিন তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা ১৩৫ মেগাওয়াট। বরাদ্দ পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১০৩ মেগাওয়াট। এ কারণে প্রতিদিন ঘাটতি থাকছে কমপক্ষে ৩২ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট। তাই প্রতিদিন লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। দিনে দুই একবার লোডশেডিং হলেও মূলত সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।