আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সিরিয়ার পূর্বে ইরাকের সীমান্তবর্তী দেইর আজ-জোর প্রদেশে সেনাবহনকারী একটি বাসে বন্দুকধারীদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সরকারবিরোধী কর্মীরা এমনটাই জানিয়েছেন।
যদিও যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস শুক্রবার (১১ আগস্ট) জানিয়েছে, মরুভূমির রাস্তায় হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন সরকারপন্থি ২৩ সিরীয় সেনা এবং আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
হামলার সময় সশস্ত্র ব্যক্তিরা বাসটি ঘিরে ধরে এবং গুলি চালায়।
সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, হামলাটি চালিয়েছে আইএসআইএল(আইএস)। সংগঠনটি ২০১৯ সালে পরাজয়ের পরেও সিরিয়ার কিছু অংশে তাদের স্লিপার সেল এখনও প্রায়ই মারাত্মক হামলা চালায়। তবে চলতি বছর আইএস পরিচালিত সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলো হয়েছে। আইএসআইএল তাদের লক্ষ্যবস্তুতে বেসামরিক নাগরিক ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের পাশাপাশি সরকারি সেনা ও ইরানপন্থি যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তবে সিরিয়ার সেনাবাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে অবজারভেটরির প্রধান আবদুর রহমান বলেন, ’আইএসআইএল সম্প্রতি তার মারাত্মক সামরিক হামলা বাড়িয়েছে। তাদের লক্ষ্য যতটা সম্ভব মৃত্যু ঘটানো। এর মাধ্যমে তারা একটি বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছে যে গ্রুপটি এখনও সক্রিয় এবং তাদের নেতাদের টার্গেট করা সত্ত্বেও।’
চলতি বছর তাদের পঞ্চম নেতা আবু হুসেইন আর-হুসাইনি আল-কুরেইশি নিহত হয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত এপ্রিলে জানিয়েছিলেন, তাদের গোয়েন্দা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে আবু হুসেইন নিহত হয়েছেন।
গোষ্ঠীটি এ মাসে তাদের নতুন নেতা হিসেবে আবু হাফস আল-হাশিমি আল-কুরাশির নাম ঘোষণা করেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা।