নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরে বিদ্যুতের চাহিদা ৬০ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ মিলছে মাত্র ৪৫ মেগাওয়াট। প্রতিদিন শহরেই বিদ্যুৎ ঘাটতি ১৫ মেগাওয়াট। একই পরিমাণ ঘাটতি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতেও। এ কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) যশোরের বিভিন্ন এলাকায় এভাবে কয়েকবার বিদ্যুতবিহীন ছিল। শুধু তাই নয় এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
শহরবাসীর ভাষ্য মতে, এখন শরতকাল চলছে। তবে গরম অনভূত হচ্ছে গ্রীষ্মকালের মতো। যার কারণে প্রচন্ড গরমে মানুষ কাহিল হয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে নিয়ম করে সন্ধ্যায় হচ্ছে লোডশেডিং। এতে তীব্র গরমে দুর্ভোগ ও কাজকর্মে বিঘœ ঘটছে বলে জানিয়েছেন শহরের মাইকপট্টি এলাকার বাসিন্দারা।
এ দিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে বেশ কয়েকটি বড় বিদ্যুতকেন্দ্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারা দেশেই লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘন ঘন লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। বিপিডিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ পরিস্থিতি সাময়িক এবং আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
যশোর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। শহরে দিন-রাতে বিদ্যুৎ গিয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাবার কারণে প্রচন্ড গরমে মানুষ কাহিল হয়ে যাচ্ছে। আরেকদিকে শিশুদের পরীক্ষা শুরু হওয়াতে ভোগান্তিতে পরেছেন তারা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন যশোরের মানুষ।
বিদ্যুতের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে যশোর শহরে বিদ্যুতের চাহিদা ৬০ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ মিলছে মাত্র ৪৫ মেগাওয়াট।
(ওজোপাডিকো)’র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ কার্যালয় এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম থাকায় শহরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এটি কতদিন থাকবে তা নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে জাতীয় গ্রিডে পর্যাপ্ত সরবরাহ পাওয়া গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে ও জানান তিনি।
এদিকে, শহরাঞ্চলে লোডশেডিং কম হলেও গ্রামে রাত-দিন মিলে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। শার্শার পাকশিয়া গ্রামের শিলা খাতুন বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ৪-৫ বার লোডশেডিং হয়েছে। প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে মোট ৪-৫ ঘণ্টা মতো লোডশেডিং হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের এমনই পরিস্থিতি আমাদের গ্রামে।
চৌগাছা উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, টানা তাপপ্রবাহ চলছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিপদের শেষ নেই।
লোডশেডিংয়ের বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর যশোরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আরিফ আহমেদ বলেন, জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ সংকট তৈরি হওয়ায় তারা ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত কম পাচ্ছে। ফলে লোডশেডিং হচ্ছে।
